কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা পুনরুদ্ধার করতে পারবে কি শাসক দল,নাকি গেরুয়া শিবির চমক দেখাবে?এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর সভা পুনরুদ্ধার করতে পারবে কি শাসক দল,নাকি গেরুয়া শিবির চমক দেখাবে?এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ ১ মার্চ:রবিবার ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে ফলাফলের কাউন্টডাউন।কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ টি পৌর ওয়ার্ডের ৬৮জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ১৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন করবেন কালিয়াগঞ্জ পৌর জনতা জনারদনেরা। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিভিন্ন দলের পৌর প্রার্থীদের হার্টবিট উঠা নামা শুরু হয়ে গেছে।রাত পোহালেই ভোটের ফল প্রকাশ হবে।
কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিগত ২০১৫ সালের হওয়া নির্বাচনের সাথে ২০২২ সালের পৌর নির্বাচন যেন আকাশ পাতাল তফাৎ।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ইতিহাসে পৌর নির্বাচন গত ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একটানা ২১ বছরের জয়ের যে স্বাদ জাতীয় কংগ্রেস দল পেয়ে আসছিল সেই ট্র্যাডিশন কি ধরে রাখার কারিশমা দেখানো সম্ভব?নাকি কংগ্রেসের দল ছুটেরা কংগ্রেসের পৌর বোর্ড থেকে বেরিয়ে গিয়ে সামান্য চার বছরের তৃণমূল পৌর বোর্ড গঠন করে ছিল তা ধরে রাখতে পারবে? নাকি কালিয়াগঞ্জ এর রূপকার তথা পৌর নির্বাচনে এবারের বিজেপির মুখ কার্তিক পালের নেতৃত্বে বিজেপি পৌর বোর্ড দখল করবে তার হিসাব নিকাশ চূড়ান্ত পর্যায়ে হলেও রাত পোহালেই সেই হিসাব নিকাশের অবসান ঘটতে চলেছে।এবারের নির্বাচন যেন প্রাক্তন পৌরপিপিতা কার্তিক পালের সাথে শাসক তৃণমূল দলের স্নায়ু যুদ্ধের লরাই।
এ ব্যাপারেতৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক অসীম ঘোষ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উন্নয়ন মাত্র তিন চার বছরের মধ্যেই শাসক দল যে ভাবে করে দেখিয়েছে তাতো কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ দেখেছে।এই এলাকার মানুষজন উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছে।তাই আমার বিশ্বাস শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ১৭-o করে তৃণমূলের পৌর বোর্ড গড়বে বলেই তার বিশ্বাস। অপর দিকে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী তথা কালিয়াগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুজিত দত্ত বলেন তাদের কংগ্রেস দলকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নাগরিকগণ ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভোট দিয়ে এসেছে।আমার বিশ্বাস মানুষ কংগ্রেসের পাশেই থাকবে বলে বিশ্বাস।
২১বছর ধরে কংগ্রেস দলকে ভোট দিয়ে জয়ী করা মানেই কংগ্রেসকে মানুষ এখনো ভালোবাসে।মানুষ পৌর পরিষেবা সাধ্য মত দিতে পেরেছিল সততার সাথে।অপর দিকে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের পৌর পিতা তথা বর্তমানে পৌর সভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ,কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক পাল বলেন তিনি তিন বছর পৌর পিতার দায়িত্বে থাকার সুবাদে কালিয়াগঞ্জ শহরকে উন্নয়নের নিরিখে যেখানে পৌঁছে দিয়েছেন তা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ২১ বছরের ইতিহাসে এই উন্নয়ন কেও আগে দেখেনি বলে জানান।
তাই মানুষ উন্নয়ন চাইবার সাথে সাথে কাজের মানুষকেই আবার বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের গতিকে বজায় রাখতে বিজেপির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করবে বলেই কালিয়াগঞ্জ পৌর নাগরিকদের উপর তার একশো শতাংশ বিশ্বাস আছে।মানুষ উন্নয়ন চায় ,মানুষ কিছু না পেলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা কোন আক্রোশের সন্মুখীন কোন ভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়।যা গত এক বছরে অনেক মানুশের সাথে পৌর সভায় অশালীন আচরন করা হয়ছে।
মানুষই তার জবাব দেবে।তাইএখন কোটি টাকার প্রশ্ন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী তথা বিজেপির মুখ প্রার্থী কার্তিক পালকেই মানুষ আশীর্বাদ করবে নাকি শাসক তৃণমূল দলকে পুনরায় পৌর বোর্ড গড়বার সুযোগ দেবে নাকি ২১ বছরের সেই ট্র্যাডিশন কংগ্রেসকে পুনরায় ধরে রাখবে কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ তা রাত পোহালেই দূধ কা দুধ পানিকা পানির মত পরিস্কার হয়ে যাবে সকলের কাছেই।
কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ভোট গণনা চলবে কালিয়াগঞ্জ টেকনিকাল স্কুলে।ভোট গননাকে কেন্দ্রকরে সারা এলাকা জুড়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হযেছে বলে কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি দীপাঞ্জন দাস এক সাক্ষাৎকারে জানান।এখন সবাই অপেক্ষা করে আছে কে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার মসনদে বসতে চলেছে তা দেখার জন্য কালকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হবে।