রাজ্যে বর্তমানে যে কোভিড বিধি রয়েছে তা বাড়ানো হল ১৫ দিনের জন্য।
1 min readরাজ্যে বর্তমানে যে কোভিড বিধি রয়েছে তা বাড়ানো হল ১৫ দিনের জন্য।
কলকাতা: রাজ্যে বর্তমানে যে কোভিড বিধি রয়েছে তা বাড়ানো হল ১৫ দিনের জন্য। অর্থাৎ আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত কোভিড বিধি বলবৎ থাকছে রাজ্যে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। আগামী ১৫ দিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের রাস্তায় চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকছে। অত্যাবশ্যকীয় যানবাহন ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কোনও জমায়েতও করা যাবে না। যদিও ১ মার্চ থেকে নতুন করে আর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নবান্নের তরফে কোভিড বিধি সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তা ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এদিনই আবার আগামী ১৫ দিনের জন্য বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
কী কী বলা হচ্ছে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যে যে নিয়ম মানতে বলা হয়েছিল সবই মেনে চলতে হবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এখনই রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ তুলছে না নবান্ন। রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি কোনও কাজ না থাকলে রাস্তায় বেরোনো যাবে না। একমাত্র জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত যানবাহনই রাস্তায় চলাচল করবে। মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। শারীরিক দূরত্ব, সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবরকম কোভিড বিধি মেনেই খোলা থাকবে অফিস। কোনওরকম অতিমারি বিধি লঙ্ঘন মেনে নেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে আইন মেনেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।
১৪ ফেব্রুয়ারি কী বলা হয়েছিল
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত আইসিডিএস সেন্টার খুলে যাচ্ছে। একটি পৃথক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। যা মহিলা ও শিশুদের উন্নয়নমূলক ও সামাজিক উৎকর্ষ সংক্রান্ত যে বিভাগ তার আওতায় কাজ করবে। এ ক্ষেত্রেও নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর থেকে একটি পৃথক এসওপি জারি করে কাজ করবে বলে বলা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল খোলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
গত দু’বছরে প্রথম নামল একশোর নীচে সংক্রমণ
প্রায় দু’বছর পর বাংলায় সোমবার একশোর নীচে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২০২০ সালের ২১ মে বাংলার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৪। সোমবার তা হল ৮৯। ২১ মাস পরে এত কম দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২১ মাস পরে একশোর নীচে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পজিটিভিটি রেট .৫। এতেও রেকর্ড। নিঃসন্দেহে এই সংখ্যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বুলেটিনে এই তথ্য তুলে ধরেছে।