December 25, 2024

মা, কিভ শহর থেকে ট্রেনে হাঙ্গেরির সীমান্তে যাবার জন্য রওনা দিলাম,জানিনা দেশে কবে ফিরতে পারবো

1 min read

মা, কিভ শহর থেকে ট্রেনে হাঙ্গেরির সীমান্তে যাবার জন্য রওনা দিলাম,জানিনা দেশে কবে ফিরতে পারবো

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৮ ফেব্রুয়ারি:সোমবার বিকেল চারটায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের হরিহরপুরের হোটেল মালিকের ছেলে সৌরভ ইউক্রেনের কিভ মেডিক্যাল কলেজের সষ্ঠ বছরের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ট্রেনে উঠে মাকে ফোন করছে মা,কোন রকম করে একরকম পালিয়ে কিভ স্টেশনে এসে হাঙ্গেরির সীমান্তে যাবার ট্রেনে উঠলাম।সেখানে যদি নিরাপদে পৌঁছেতে পারি তাহলে ভারতীয় বিমান পাবার সম্ভাবনা আছে।কপালে কি আছে জানিনা,আশীর্বাদ করো তোমরা।দেশে তোমার কাছে কবে যেতে পারবো

তাও হলফ করে বলতে পারছিনা। কালিয়াগঞ্জ শহরের ধনকোল হাটের হরিহরপুরের বাবা লোকনাথ হোটেলে মা সীমা বাগচীকে যখন ফোন করছিল তখন মা সীমা বাগচী ও বাবা নীতিশ বাগচী এই প্রতিবেদকের সামনেই ছেলে সৌরভের ফোন পেয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। জানা যায় এই কদিন ধরে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ শহরের একটি বাঙ্কারের মধ্যে কিভ মেডিক্যাল কলেজের সষ্ঠ বছরের হার্ট স্পেশালিস্ট বিভাগের ছাত্র সৌরভ কোন ভাবে দিন কাটিয়েছে।সৌরভের বাবা নীতিশ বাগচী ও মা সীমা বাগচীর একটাই কথা আমার ছেলে সৌরভের আর মাত্র তিন মাস ক্লাস বাকি ছিল।কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষা আর দিতে পারলনা।ছেলেকে বলেছি বাবা দেশে যেমন করে চলে আয়।আগে জীবন পরে পরীক্ষা।সৌরভের বাবা ও মা দুজনে মিলে হোটেল চালিয়ে কি ভাবে ছেলেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়াচ্ছেন?তার উত্তরে বলেন আমার কিছু পৈত্রিক জমি জায়গা ছিল, সে সব বিক্রি করেছি,একটা বাড়ি ছিল,সোনা দানা যা ছিল সব ওর জন্যেই দিয়ে দিয়েছি।

 

কিন্তূ শেষ মুহূর্তে এসে সব স্বপ্ন শেষ হল।স্বপ্ন শেষ হলেও আমাদের ছেলেকে যেন ভারত সরকার ফিরিয়ে দেবার জন্য সব কিছু করে দেয় সেই প্রার্থনায় আমরা করছি বলে জানান।মা ও বাবা সীমা বাগচী ও নীতিশ বাগচী ছেলে সৌরভের ছবি বুকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বার বার একই কথা বলে যাচ্ছে। মা সীমা দেবী বলছে আমার বিশ্বাস সৌরভ আমার কোলে ফিরে আসবেই। ছেলে সৌরভ ফিরে আসবে এই আশাকে সম্বল করেই সীমা দেবী ও নীতিশ বাবু অপেক্ষায় আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *