১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটাই আওয়াজ ওয়ার্ডের মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে চাকরি কেড়ে নেওয়া তৃণমূল প্রার্থী ঈশ্বর রজককে একটি ভোটও নয়
1 min read১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটাই আওয়াজ ওয়ার্ডের মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে চাকরি কেড়ে নেওয়া তৃণমূল প্রার্থী ঈশ্বর রজককে একটি ভোটও নয়
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৯ ফেব্রুয়ারি:কালিয়াগঞ্জের পৌর ভোটে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী ঈশ্বর রজক ওয়ার্ডের যেখানেই ভোট ভিক্ষা করতে যাচ্ছে সেখানেই এলাকার মানুষের একটিই আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে যে ব্যক্তি সামান্য কয়েক মাসের জন্য পৌর সভার পৌর উপ-প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে নিজের ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে পাড়ার গরিব মানুষকে ঘরের টাকা চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার করতে পারে,এবং যে ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে করে আসা একটি স্বাস্থ্য কর্মীর পেটে লাথি মেরে চাকরি খেয়ে নিতে পারে তাকে একটি ভোট ও নয়।১৩নম্বরের ওয়ার্ড বাসীদের বক্তব্য তৃণমূলের এই ভেকধারী প্রার্থী ঈশ্বর রজক নির্বাচিত না হয়েই সামান্য ক্ষমত্তা পেয়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে যিনি দরিদ্র মহিলার চাকরি খেয়ে নিতে পারে
এবার ১৩নম্বরের মানুষ এককাট্টা হয়ে এই প্রার্থীর জামানত জব্দ করতে বদ্ধপরিকর।আর সেই কারণেই এবার ১৩নম্বর ওয়ার্ডে স্বচ্ছ ভাবমূর্ত্তির দুই প্রার্থী কংগ্রেসের সুজিত দত্ত এবং বিজেপির গোকুল পালের মত প্রার্থীর মধ্যে যেকোন একজনকে ১৩ নম্বরের শান্তি প্রিয় নাগরিকরা মনে মনে বেছে নেবেন বলে বদ্ধপরিকর।
১৩ নম্বরের বেশ কিছু তৃণমূলের সমর্থকদের কথায় আকারে ইঙ্গিতে বুঝতে অসুবিধা হয়না তারা উপরে উপরে ঈশ্বর রজকের আশে পাশে ঘুর ঘুর করলেও তারা আর কয়েকটা দিন পরে তাদের আসল চেহারা ঈশ্বর রজককে দেখিয়ে বলতে ছাড়বেনা তিনি পাড়ার হত দরিদ্র মহিলার পেটে লাথি মেরে যেভাবে তার চাকরি খেয়েছেন যে বিশাল অন্ন্যায় করেছেন তা কোন সভ্য মানুষ এই অসভ্য বর্বরতাকে কোন ভাবেই মেনে নেবেনা।১৩নম্ভরের তৃণমূলের বিশিষ্ট জনৈক নেতা এই প্রতিবেদককে মঙ্গলবার দুপুরে বলেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে ঈশ্বর রজককে বলেছি ভোটের আগে এই নিজের ডেকে আনা সালটাকে সামলিয়ে নাও না হলে কিন্তূ বিপদ অনিবার্য,এত বড় মাপের বে -আইনি কাজ কোন ভাবেই তোমার করা উচিৎ হয়নি।তবুও সে আমার কথাকে আমল না দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।ফলে যা হবার তাই হবে।পাড়ার কোন মানুষের বিরুদ্ধে কোন নেতার এই ধরনের কাজ কোন সভ্য মানুষ মেনে নিতে পারেনা কখনই। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস নেতা তথা এবারের কংগ্রেস প্রার্থী সুজিত দত্ত বলেন এই যদি পাড়ার কোন তৃণমূলের প্রার্থীর কাজের নমুনা হয়ে থাকে সেই প্রার্থী পাড়ার মানুষকে কোন পরিষেবা দিতে পারবে? বিগত পৌর নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মঞ্জুরি দত্ত দাম কমিশনার হয়ে পাঁচ বছর কাজ করেছেন কই পাড়ার কোন ব্যক্তির হয়তো সব কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে পারেনি তাই বলে সম্পুর্ন ব্যক্তিগত আক্রসের কারনে এমন ধরনের অসভ্যতা, বর্বরতার মত কাজতো করেনি।সবার সব কিছু উপকার না করতে পারলেও কারো বিরুদ্ধে এই ধরনের মারাত্বক কোন হাত কাঁপানো কাজতো তিনি করেন নি?সুজিত বাবু বলেন পাড়ার একজন মহিলার বিনা কারণে তার চাকরি খেয়ে নেবেন এ কোন পৌর প্রসাশক আমরা এই কয়েক মাসের জন্য দেখতে পেলাম? তিনি বলেন আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন আপনার আমরা ক্ষমতায় আসছি।আর এলে পরেই প্রথম কাজ হবে দানি গুপ্তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া।বিজেপি প্রার্থী গোকুল পাল বলেন ১৩ নম্ভর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ঈশ্বর রজক ভেবে নিয়েছিলেন তিনি সারা জীবন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উপ-পৌর প্রশাসকের দায়িত্বেই থাকবেন।তাকে কোন দিন ভোট ভিক্ষা আর করতে হবেনা।এবার তৃণমূলের নেতা বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল?বিজেপি প্রার্থী বলেন ১৩নম্ভর ওয়ার্ডের মানুষ এই ব্যক্তিকে কেউ দেখতে পারেনা তার উদ্ধত্বপনা ও অহঙ্কারের কারনে।
এই ওয়ার্ডের মানুষ এবার তৃণমূলের এই অসামাজিক ব্যক্তিকে রাজনীতির আঙিনা থেকে দূরে সরিয়ে দেবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।গোকুল পাল বলেন আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই কার্তিক পালের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ক্ষমতা বিজেপি পেতে চলেছে।কার্তিক পালচেয়ারম্যান হয়ে বসলেই সবার প্রথম কাজ হবে দানি গুপ্তার ঘরের টাকা দেয়া ও তার চাকরিটা পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া।সাধারণ মানুষ বলছে কমিশনার হয়েই যদি এই ব্যক্তি পাড়ার মানুষের চাকরি খেতে পারেন,পৌর সভায় সরকারি ঘরের টাকার জন্য বলতে গিয়ে গ্রেপ্তার করতে পারেন তাহলে এই ব্যক্তিটি যদি কোন দিন বিধায়ক হন তাহলে পাড়ার মানুষ তার কথার অবাধ্য হলে প্রতিদিন পাড়ার মানুষকে বিনা কারণে নিজের ক্ষমতা দেখতে থানায় ঢুকিয়ে দেবেন।এর কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন তার যোগ্যতা তিনি নিম্নবর্ণের মানুষ। তাই গোবরে পদ্ম ফুলের জায়গায় ঘাসফুল ফুটেছে।এটাই তার একমাত্র যোগ্যতা।তাছাড়া ১৩ নম্ভর ওয়ার্ডের মানুষদের আরো বক্তব্য তৃণমূলের একজন পৌর প্রশাসককে তৃণমূল দলের কোন উর্ধতন নেতা এই কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তার উপর কেও চাপ সৃষ্টি না করার ফলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কোন নেতার কোন রকম বক্তব্যকে কেউ গুরুত্ব দেবেনা বলে ওয়ার্ডবাসী জানান।ফলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবার তৃণমূলের প্রার্থী ঈশ্বর রজককে উচিৎ শিক্ষা দেবার জন্য মনে মবে প্রস্তুত।শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।