কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে সাশক তৃণমূল দল সহ বিজেপি,বাম ও কংগ্রেস দল তাদের মনোনয়ন দাখিল করলো শান্তিপূর্ণ ভাবে
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে সাশক তৃণমূল দল সহ বিজেপি,বাম ও কংগ্রেস দল তাদের মনোনয়ন দাখিল করলো শান্তিপূর্ণ ভাবে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৯ ফেব্রুয়ারি:সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দলের সিল ও স্বাক্ষর যুক্ত তালিকাকে মান্য তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার মনোয়ন পত্র জমা দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা বসন্ত রায় ।এদিন রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় মহকুমা শাসকের দপ্তরে তৃণমূল দল ১৭ টি ওয়ার্ডের জন্য ১৭জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করে।জানা যায় তৃণমূল থেকে টিকিট না পাবার কারনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলীয় কোন্দলের ফলে প্রাথী না হতে পারায় শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়।
অন্য দিকে মঙ্গলবার জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৯টি আসনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে।কংগ্রেস থেকে বলা হয় বুধবার তারা বাকি ৮ টি আসনে মনোনয়ন দাখিল করবে।অপরদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে একক ভাবে বাম ফ্রন্ট তাদের ১৭ জন প্রার্থী মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র দাখিল করে।বামফ্রন্ট নেতা ভারতেন্দ্র চৌধুরী বলেন তারা এবার কংগ্রেসের সাথে জোট না করেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বলে জানান।বুধবার কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন পৌর পিতা তথা কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের কান্ডারি কার্তিক পালের নেতৃত্বে বিজেপির ১৭ জন প্রার্থী কর্নজোড়ায় মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেন বলে কার্তিক পাল জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল দলে নানান রকম বিভ্রান্তির ঘটনা ঘটলেও বিজেপি,কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রার্থী নিয়ে কোন রকম বিভ্রান্তিকর ঘটনা এখনও পর্যন্ত কিছু দেখা যায়নি। তবে কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনের প্রথম পর্বে প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল দল যে খেলা জমিয়ে দিয়েছে তা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখছে না।কালিয়াগঞ্জ পৌর নাগরিকদের বক্তব্য তৃণমূলের মত একটি দল বার বার প্রার্থীর পরিবর্তন ঘটিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে বোঝা যায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল উপর থেকে নিচু স্তর পর্যন্ত যে ভাবে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে তা কোন ভাবেই হওয়া উচিত ছিলনা।অপর দিকে তত মনোনয়ন নিয়ে কোন রকম গন্ডগোল বাম কংগ্রেস অথবা বিজেপি দলের মধ্যে কিছুই নেই বলে জানা যায়।