মৎস্য দপ্তরের গৃহপালিত রঙিন মাছ হঠাৎ সমাজসেবকের ভুমিকায় কালিয়াগঞ্জে স্থলে বিচরণ।
1 min readমৎস্য দপ্তরের গৃহপালিত রঙিন মাছ হঠাৎ সমাজসেবকের ভুমিকায় কালিয়াগঞ্জে স্থলে বিচরণ।
তন্ময় চক্রবর্তী, বর্তমানের কথা। কালিয়াগঞ্জ।
মাছ জলচর নাকি স্থলচর নাকি উভচর। শিক্ষক মহাশয়ের প্রশ্নের উত্তরে ক্লাসের বকেটা ছাত্রের উত্তর শুনে শিক্ষক মহাশয়ের প্রেসার হাই হয়ে চেয়ার থেকে পরে গেলেন। ছাত্র টি উত্তর দিয়েছিল স্যার কোন মাছের কথা বলছেন? শিক্ষক মহাশয় বললেন কোন মাছ আবার? মাছ তো মাছ। ছাত্রটি বলে উঠে স্যার পুকুরের মাছ নাকি গৃহপালিত রঙিন মাছ? এর পরেই শিক্ষকের প্রেসার হাই হতে শুরু করে , তারপরে প্রতিবেদনের শিরোনাম” গল্পের গরু গাছে উঠেছে ” এই পর্যায়ে পরবর্তী বিশ্লেষণ।
হ্যাঁ মাছ জলচর হয়েও কালিয়াগঞ্জে উভচরে পরিণত। পশ্চিমবঙ্গের মৎস দপ্তর সম্পর্কে মানুষ বেশি ওয়াকিবহাল হয়েছিল বামফ্রন্ট আমলে মৎস দপ্তরের মন্ত্রী কিরণময় নন্দের আমলে। আর উত্তর দিনাজপুর জেলার মৎস দপ্তর নিয়ে যে ইতিহাস তৈরী হয়েছিল সেই ইতিহাসের পটভূমিকায় ছিলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা অরুণ দে। এই দপ্তরের শোনা যায় কোটি কোটি টাকার হাওলা গাওলা কেলেঙ্কারির কথা। বর্তমানের কথা সত্যতা যাচাই করে নি তবে আকাশে বাতাসে তোলপাড় ছিল বিভিন্ন কানাঘুষা সংবাদ। পুকুরে মাছ চাষ, রঙিন মাছের চাষ সম্পর্কিত বিষয়। তারপরে ২০১১ তে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মা মাটি মানুষের সরকার আসে কিন্তু মৎস দপ্তর ঐ একিই জায়গায় তার ঠিকানায় অধিষ্ঠিত থেকে গেছে বিভিন্ন রঙ বেরঙের অফিসার দের নিয়েই। আর আজকের প্রতিবেদনে মৎস দপ্তরের এমনি এক গৃহপালিত রঙিন মাছ তিনি নাকি কালিয়াগঞ্জের স্থলে বিরাজমান সমাজসেবকের ভুমিকায় অবতীর্ণ। আজকের এই প্রতিবেদনের শিরোনামে প্রবেশের পূর্বে কালিয়াগঞ্জে আনাচে কানাচে উভচর রঙিন মাছের সমাজসেবকের ভুমিকায় অবতীর্ণে পোস্টমর্টেম চলছে।
দেখা যাক সেই জনগনের তথা কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কি বলছে। বর্তমানের কথা সত্যতা যাচাই করে নি আবারো, কিন্তু কানাঘুষা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে হৈ চৈ পরে গেছে বিভিন্ন মহলে। এমনিতেই কালিয়াগঞ্জ ছোট্ট পৌরশহর। সবাই সবাইকে চেনে ও জানে। এই শহরে যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে কর্মীদের সকলে চেনে তেমনি কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন সমাজসেবক দের সকলে জানে যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সমাজ সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। কিন্তু কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনের প্রাক্কালে হঠাৎ এক গজিয়ে ওঠা সমাজসেবকের নাম নিয়ে সকলে রঙিন ধাঁধায় কানাঘুষা করেই চলেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা মৎস দপ্তরের সেই রঙ বেরঙের গৃহপালিত রঙিন মাছের মতো চাকরি জীবন থেকে অগ্রীম অবসর নেওয়া বর্তমানে সমাজসেবকের তকমায় আচ্ছাদিত প্রবীর মহাপাত্র। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ২০২১ এর বছর বিদায়ের আগে পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জের মানুষ সমাজসেবক বলে প্রবীর মহাপাত্র নামে কারো নাম আছে কিনা এই বিষয়ে বর্তমান প্রজন্মের থেকে অতি বয়স্ক জনগন এমনকি কালিয়াগঞ্জের ব্যাবসায়ী মহল এবং রাজনৈতিক আঙ্গিনায় নেতা কর্মীরাও জানেন না। নতুন বছরের পদার্পনে প্রবীর মহাপাত্র নামে নব্য সমাজসেবকের নাম নিয়েই কানাঘুষা। তারপরে তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্লাটফর্মের একজন সমাজসেবক। কি আশ্চর্য যাকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক গ্রহে কোনোদিন দেখাই গেল না তিনি নাকি আগামী পৌর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ময়দানে তৈরি হয়ে আছেন।
তবে এই তৈরি থাকার পিছনে নাকি কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস এর কতিপয়গণ তাঁকে নিয়ে লিফটিং করতে শুরু করে দিয়েছেন। কানাঘুষা পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বর্তমানের কথা দেওয়ালে কান পেতে থেকে আওয়াজ পেয়েছে এই প্রবীর মহাপাত্রের কাছে ২ টি পাওয়ার নাকি আছে। সত্যি কি তাই ! কতখানি সত্য তার সঠিক অনুসন্ধানের মাপ কাঠিতে না গিয়ে জানা গেছে প্রবীর মহাপাত্রের কাছে নাকি হ্যাবক অর্থ আর তৃণমূল কংগ্রেসের হাই প্রোফাইল নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। যদি উভয় টাই সত্যি হয়ে থাকে তাহলে কালিয়াগঞ্জ পৌরশহরে কি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের অভাব পরেছে? নাকি প্রকৃত দল ও সংগঠনের প্রকৃত তৃণমূলীর অভাব? আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন ব্যাবসায়ী ফরিয়াদের মতো তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক ফরিয়া হয়ে সমাজসেবকের ভুমিকায় অবতীর্ণ?
জনগনের চক্ষুর আড়ালে , তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের আবডালে অনেক সুযোগ সন্ধানী তৃণমূলীরা প্রায়ই যোগাযোগ স্থাপন করেই চলেছেন প্রবীর মহাপাত্রের সাথে । এই নিয়েও কানাঘুষা থেকে প্রকাশ্যে বিবৃতির ঝলকানি।
কালিয়াগঞ্জ পাওনিয়র মাঠেও নাকি এই প্রবীর মহাপাত্রের সাথে গোপনে দুই তিনজন তথাকথিত তৃণমূলীদের লুকোচুরি খেলতেও দেখেছেন বলে চায়ের দোকানে কেউ কেউ গল্পে মশগুল। অনেকেই বিভিন্ন ঠেকে নাকি গল্প করছেন কালিয়াগঞ্জের নব্য এই সমাজসেবক প্রবীর মহাপাত্রের চাকুরি জীবনে কত টাকা বেতন পেতেন যে এই বয়সেই হ্যাবক অর্থের মালিক হয়ে গেলেন? আরে দাদা, এগুলো সত্য নাকি গল্প এই প্রশ্ন করতে গিয়ে ঠেকের আডডায় জনসাধারণ মুখে কুলুপ আটছেন। বলছে আরে গল্পের গরু গাছে উঠেছে দাদা। এই যদি হয় বাস্তব , যদি হয়ে থাকে তাহলে কালিয়াগঞ্জের সর্বসাধারণ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ও অনেক নেতৃত্ব দের কাছে আগামী দিনে রঙিন স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কিবা থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী সিলেকশনে আবার আর্থিক ঘোটালায় কারো খপ্পরে কেউ না পরে যায় এই নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই প্রবীর মহাপাত্র নিজেকে রুস্তম সমাজসেবকের তকমায় প্রমান করে দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ প্রতিবাদ ক্লাবের ময়দানে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে আন্তর্জাতিক আই,পি,এল ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে যেমন জুয়ার ফরমাইশ চলে তেমনি উক্ত টুর্নামেন্টে বিশেষ অতিথির আসন গ্রহন করে ঘোষক কে দিয়ে বারবার ঘোষণা করেছিলেন ওভার বাউন্ডারি তে দর্শক ক্যাচ লুফে নিলে ১৫০০ টাকা প্রবীর মাহাতো দিবেন। জুয়ারি কায়দায় জনগনকে অর্থের লোভ দেখিয়ে যদি সমাজসেবাই হয় তাহলে সমাজসেবকের অর্থ খুঁজতে রঙিন স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কি হতে পারে! অনেকক্ষন পরে শিক্ষক মহাশয়ের জ্ঞান ফিরেছে, একটু স্বাভাবিক হয়েছেন। তাকে উঠিয়ে ছাত্ররা চেয়ারে বসিয়েছে। একটু চোখ খুলে তাকিয়ে দেখেন টেবিলের উপরে একুরিয়ামে রঙিন মাছ সাঁতার কাটছে আর শিক্ষক মহাশয় বিভোর হয়ে তাকিয়ে দেখছেন সেই রঙিন মাছ কে।