কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে ধীরগতিতে, শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষেরা ক্ষুব্ধ,স্টেডিয়াম উপহার বিশ বাও জলে-
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে ধীরগতিতে, শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষেরা ক্ষুব্ধ,স্টেডিয়াম উপহার বিশ বাও জলে-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৬ জানুয়ারি:পৌর শহর কালিয়াগঞ্জের মানুষদের দীর্ঘ দিনের একটি চাহিদ ছিল এলাকার খেলা ধুলার উন্নয়ের স্বার্থে একটি স্টেডিয়াম সেই স্টেডিয়ামের কাজ কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌর পিতা কার্তিক চন্দ্র পালের আমলে স্টেডিয়ামের মূল কাজ শুরু হলেও স্টেডিয়ামের জমি পঞ্চায়েত থেকে পৌর সভায় হস্তান্তরের কাজ সব কিছুই কংগ্রেসের প্রয়াত প্রাক্তন পৌর পিতা অরুণ দে সরকারের হাত দিয়েই হয়েছিল।শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জের ভূমি পুত্র তথা।।প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর স্ত্রী দীপা দাসমুন্সী যখন কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন সেই সময়।তিনি রসিদপুরের স্টেডিয়ামের বাউন্ডাররী জন্য দুই কোটি টাকা তার সাংসদ কোটার তহবিল থেকে পৌর সভাকে দিয়েছিলেন।কিন্তূ বাউন্ডারি হবার পরেও স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারে তেমন কোন উদ্যোগ একটা ছিলনা।
কালিয়াগঞ্জের ধনকোলে অবস্থিত রসিদপুরের পৌর সভার স্টেডিয়ামের জমি বছরের পর বছর পরে ছিল।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় কংগ্রেস থেকে দলবদলের পর কার্তিক পাল যখন তৃণমূল পৌর বোর্ডের পৌরপিতা হন পৌরপিতা হয়েই কলকাতা থেকে কার্তিক পাল কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের জন্য একের পর এক প্রকল্পের জন্য কার্তিক পাল অর্থ আনেন।
২০১৭সালে কালিয়াগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাজ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করা হয়।বিগত পাঁচ বছর ধরে কালিয়াগঞ্জ স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ যে ধীর গতিতে চলছে এটা কেও হলফ করে বলতে পারবেনা কালিয়াগঞ্জের মানুষ কবে নাগাদ এই স্টেডিয়াম উপহার পাবে?আসলে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বর্তমান যিনি পৌর প্রসাশক তিনি স্টেডিয়াম সম্পর্কে কোনকিছুই খোঁজ খবর রাখেন না। তা ছাড়া কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌরপিতা কার্তিক পাল যে সময় দায়িত্বে ছিলেন তখন কাজ হয়েছে।কিন্তু তিনি পৌরপিতা থেকে পদত্যাগ করে চলে যাবার পর দুই বছর স্টেডিয়ামের কাজ কচ্ছপের গতিতে চলায় যা হবার তাই হয়েছে।
সামান্য কিছু কাজ হবার পর তা বর্তমানে গতিহীন অবস্থায় দাঁড়িযে আছে।উত্তরদিনাজপুর খো খো এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বরুণ দাস বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন কালিয়াগঞ্জের মত ছোট শহরে একটি ছোট মাপের স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যদি বছরের পর বছর লাগে তাহলে এর শেষ কোথায় হবে? তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রসাশক মন্ডলিতে যে পাঁচ জনকে নিয়ে পৌর প্রসাশক মন্ডলীর বোর্ড করা হয়েছে তারা একজনও খেলাধুলার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বা জানার চেষ্টাও করেন না।এরা আসল খেলা খেলতে জানেনা।যত নকল খেলা নিয়েই এদের কাজ।বরুণ বাবু বলেন বিভিন্ন খেলার কথা চিন্তা করে স্টেডিয়ামের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য পৌর প্রশাসককে অনুররোধ করেন।কালিয়াগঞ্জ ফুটবল একাডেমির সম্পাদক তরুন গুহ বলেন মাঠের অভাবে আমরা ভালো খেলা নামাতে পারছিনা। অথচ বছরের পর বছর ধরে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলবে তা মানা যায়না।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উচিৎ স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারটা একটা টাইমবাউন্ড প্রোগ্রাম করেই এগিয়ে যাওয়া উচিত বলে তরুণ গুহ মনে করেন।