রাজ্য সরকার পৌর সভায় বাংলা আবাস যোজনার টাকা না পাঠানোর ফলে আটশো বেনিফিসিয়ারী চরম সমস্যার মধ্যে
1 min readরাজ্য সরকার পৌর সভায় বাংলা আবাস যোজনার টাকা না পাঠানোর ফলে আটশো বেনিফিসিয়ারী চরম সমস্যার মধ্যে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ৫ ডিসেম্বর:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় রাজ্য সরকার অর্থ না পাঠাবার কারনে কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অনুমানিক ৮০০ বাংলা আবাস যোজনার বেনিফিসিয়ারীরা চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে বলে জানায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বাঙলা আবাস যোজনার বেনিফিসিয়ারী বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা থেকে এক বছর আগেও সময় মত দুই কিস্তির টাকা পাওয়া গেছে।গত এক বছর হয় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় নুতন পৌর প্রসাশক মন্ডলী বসানো হয়েছে।পৌর প্রসাশক মন্ডলী বসানোর পর এক বছর হতে চলল দুই কিস্তির টাকা পেয়ে ঘরের লিনটার পর্যন্ত করার পর তিন কিস্তির টাকা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা দিতে পারছেনা।
এদিকে পুরাতন ঘরভেঙে নুতন ঘর করতে গিয়ে বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তারা বিরাট সমস্যার মধ্যে পড়েছে বলে তারা জানান। বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তারা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন প্রতিটি পৌর সভা এলাকা ও পঞ্চায়েত এলাকায় বাংলা আবাস যোজনার টাকা সব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।অথচ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় তৃতীয় কিস্তির ঘরের টাকা পৌর পিতা শচিন সিংহ রায়ের কাছে চাইতে গেলেই তিনি বলেন টাকা যখন আসবে তখনই দেওয়া হবে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা থেকে আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের বক্তব্য তাহলে সত্যি কথা কে বলছেন?
এই আবাস যোজনার টাকা দেবার নাম করে আমাদেরকে নিয়ে খেলা হচ্ছে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বেশকিছু বাংলা আবাস যোজনার বেনিফিশিয়ারীদের বক্তব্য দুয়ারে পৌর ভোট।এই পৌর ভোটকে পাখির চোখ করতে তৃতীয় কিস্তির টাকা তাদেরকেই পৌর ভোটের আগে দেওয়া হবে যাদের পৌর ভোট সাশক দলের দিকে যাবে এমনি এ কটি সার্ভে করা হচ্ছে বলে কালিয়াগঞ্জের অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা মনে করছেন।
কালিয়াগঞ্জ টাউন কংগ্রেস সভাপতি এ ব্যপারে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাংলা আবাসন ঘরের টাকা যেন একটিও বকেয়া পরে না থাকে জেলা শাসককে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে নির্দেশ দিচ্ছেন।
আর কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে ভোট ফায়দা তুলবার জন্য একবছর ধরে টাকা বন্ধ করে রেখে মানুষদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন?বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব।মোর্চার সভাপতি গৌতম বিশ্বাস বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বর্তমান প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের কারো প্রতি শহরের সাধারণ মানুষের আস্থা নেই।
এদের যদি অবিলম্বে পৌর দপ্তর থেকে সরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচবে বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা থেকে বাংলা আবাসন যোজনার ঘরের তৃতীয় কিস্তির টাকা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক আটকিয়ে রেখে ভোটের খেলা শুরু করেছে তা আমাদের নজরে এসেছে।
বিজেপির যুব মোর্চা দ্রুত আবাসন প্রকল্পের কিস্তির টাকা নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে বলে যুব মোর্চার জেলা নেতা গৌতম বিশ্বাস জানান। যুব কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলার নেতা সৌম্য দত্ত বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বর্তমান পৌর প্রসাশক মন্ডলীর এখন কোন কাজ নেই।কাজের মধ্যে
দুই একটি কাজ করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন সেগুলি হল ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা তথা উপপৌর প্রসাশক ঈশ্বর রজকের মদতে ঘরের টাকা চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হয় এবং তার চাকরিও এখন পর্যন্ত বন্ধ।করে রাখা হয়।মানুষের ভালো কাজের জন্য এরা কেও কোন দিন কিছু করেনি।অবিলম্বে এই পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের সরিয়ে দিয়ে কালিয়াগঞ্জের মানুষের উপকারে লাগে এমন্ মানুষদের পৌর প্রসাশক করা হোক বলে সৌম্য দত্ত দাবি জানান।