April 17, 2024

পুনর্বাসন না পেয়ে মানসিক অবসাদে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হল এক বৃদ্ধা

1 min read
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা:  পুনর্বাসন না পেয়ে মানসিক অবসাদে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হল এক বৃদ্ধা। বছর দুয়েক আগে নিজের ভিটেমাটিটুকু তলিয়ে যায় গঙ্গাগর্ভে। 
অসহায় বন্যার্তদের ঠাঁয় হয়েছে স্থানীয় বিননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসনের আশ্বাসটুকুও পান নি ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। অবসাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক বন্যাপীড়িত প্রৌঢ়া। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বৈষ্ণবনগর থানার সরকারটোলা এলাকায়। অস্থায়ী ভাবে আশ্রয় নেওয়া বিননগর স্কুলের তিন তলার ছাদে বুধবার সকালে দেখা যায় তাঁর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ।
    পুলিস জানিয়েছে মৃত প্রৌঢ়ার নাম ফুরকনি মন্ডল(‌৭২)‌। বৈষ্ণবনগর থানার বিননগর-‌১ গ্রামপঞ্চায়েতর সরকারটোলা গ্রাম। এই গ্রামেই ৫ কাঠা জায়গা জুড়ে ছিল তাঁর বাড়ি। চারটি ঘর ছিল সেখানে। গাছগাছালিতে ভরা ছিল বাড়িটি। ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই সেই ভয়ঙ্কর দিন। নিমিষে গঙ্গার গ্রাসে চলে যায় আস্ত সরকারটোলা গ্রামটি। প্রায় ২৫০ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, নিজেকে বাঁচানো ছাড়া আর ঘরের আর কিছুই রক্ষা করতে পারেন নি তাঁরা। সেদিনের পর থেকে বন্যায় সর্বহারাদের আশ্রয় হয় বিননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পুলিস জানিয়েছে ফুরকনির একমাত্র ছেলে শঙ্কর মন্ডল।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 তিনি ভিন রাজ্যে মজুরের কাজ করেন। সপ্তাহ খানেক আগে বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ইটের তৈরি বাড়ি ছিল তাদের আম, জাম, পেয়ারা-‌কী গাছ ছিল না বাড়ির মধ্যে। মা নিজের হাতে তিল তিল করে গড়েছিলেন। এখনও আমাদের কাছে দু্ঃস্বপ্ন। সর্বস্ব খুঁইয়ে আমরা আশ্রয় নিই এই স্কুলে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 তখন থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন মা। সকালে আর মাকে দেখতে পাই না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ছাদে গিয়ে দেখি মা’‌র অগ্নিদগ্ধ দেহ। এদিন সকালে এক শিশু ছাদে উঠলে আগুনে দলা পাকানো দেহটি দেখতে পায় সে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠায়। তবে কিভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হল তা তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *