April 19, 2024

জল বাহিত রোগের দেখা মিলেছে মালদায়

1 min read
 বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিশুদ্ধ পানিও জল পৌঁছাচ্ছে এলাকায়।কিন্তু সেই পরিশুদ্ধ জল যদি আপনার রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ভাবছেন তাহলে ওই জলকে কি করে বিশুদ্ধ পানিও জল বলবেন তাইতো!এমনই জল বাহিত রোগের দেখা মিলেছে মালদায়।আছে বিশুদ্ধ জলের কল,কিন্তু সেই জল পান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে গ্রামবাসী।এমনই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি জলবাহিত রোগে আক্রান্ত শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই।PHE দপ্তরের কলের জল পান করে গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রোগে শয্যাশায়ী শতাধিক মানুষ।PHE দপ্তরের কলের জল পান করতে না পারায় দেখা দিয়েছে এ

লাকায় পানিও জলের সংকট।এই অবস্থায় PHE  দপ্তরের কর্তারা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন।মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অন্তর্গত সেকেন্দারপুর এলাকায় রয়েছে PHE দপ্তরের পানীয় জল পরিশোধন কেন্দ্র।সেখান থেকেই সাট্টারি এলাকার অবস্থিত PHE দপ্তরের ইউনিটে পৌঁছায় পরিশুদ্ধ পানীয় জল।মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তারপর সেই জল পৌঁছে যায় ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম , রোথবাড়ি , বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামে। PHE দপ্তরের পরিস্রুত জলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ।সেই জল পান করে বর্তমানে এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক মানুষ অসুস্থ।ভাগলপুর,হারিয়াগর,জতপ্রীতি, করমনি, বিনোদপুর গ্রাম ঘুরে দেখা মিলছে বাড়ি বাড়ি রোগে আক্রান্তের।গ্রামবাসীদের অভিযোগ,বেশ কিছু দিন ধরেই PHE জলের কল থেকে বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল।সেই জল পান করে বমি,পেটে ব্যথা সহ নানান রোগ প্রত্যেক বাড়িতে ছড়িয়েছে।ছোট শিশু,স্কুল পড়ুয়া সহ বয়স্ক সকলেই রোগে ভুগছেন।বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাঙ্গীটোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি।সাথে অসুস্থরা হাসপাতাল ও ফার্মেসী থেকে ওষুধ নিয়ে এসে খাচ্ছেন বাড়িতে।এই জল পান করা ছাড়া আমাদের বিকল্প  কিছু নেই।বাড়ির চাপা কল থাকলেও সেটি পানীয় যোগ্য নয়।তবে PHE কলের জল পান করে রোগের দেখা মেলায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত।কার্যত সেই PHE কলের জল পান করছেন না গ্রামের মানুষ।কার্যত গ্রামে মহামারীর রূপ নিচ্ছে।আমরা চাই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক এবং PHE জলের উপর আমাদের আস্থা বোঝাই থাকুক।গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখা মিলছে এই জল পান করে রোগীর সংখ্যাটা প্রায় শতাধিক।সাট্টারি ও সেকেন্দারপুরের PHE দপ্তরের জল পরিশোধন কেন্দ্রে গিয়েও দেখা মিলছে ভয়ঙ্কর চিত্র।পাইপে ছিদ্র থাকায় জল বেরিয়ে পড়ছে সাথে পাইপের ভেতরে ঢুকে জলে মিলছে বাইরেই নোংরা জীবাণু।বিষয়টি যে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে তবুও উদাসীন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।তবে এই প্রসঙ্গে PHE দপ্তরের কর্তারা সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি।এমন অবস্থায় সংবাদ প্রতিনিধিরা ইংরেজবাজার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক দেবর্ষি মুখার্জীর এই অন রেকর্ড কিছুই বলতে চাননি।তবে তিনি জানান,’এই বিষয়ে সমস্ত দায়িত্ব PHE দপ্তরের।আমি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি PHE দপ্তর ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।অতিশীগ্রই তারা গ্রাম গুলি ঘুরে দেখবে এবং রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে পরিস্রুত জল গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার  জন্য PHE দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *