করোনা তাড়াতে হাতিয়ার মোমবাতি- ধূপকাঠি।চললো সচেতনতাও
1 min readকরোনা তাড়াতে হাতিয়ার মোমবাতি- ধূপকাঠি।চললো সচেতনতাও
তুহিন শুভ্র মন্ডল বালুরঘাটের অদূরেই হাসইল গ্রামের স্কুল পাড়া, ফুলপুকুর পাড়া, বনিহার পাড়া।করোনার আতঙ্ক এত দূর বিস্তৃত যে এর প্রতিষেধক হিসাবে মোমবাতি আর ধূপকাঠি হাতিয়ার করছে ঐ গ্রামের আদিবাসী মানুষেরা।ব্যাপার খানা কি?হাসইল গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জন মার্ডি।তার শ্বশুরবাড়ি দাঁড়ালহাটের বাদশঙ্কর গ্রামে।শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে ফোনে জানানো হয় যদি বাড়ির দরজার সামনে মোমবাতি আর
তিনটি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে সারারাত জেগে থাকা যায় তাহলে করোনা ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারবে না।এই কথা শুনে তিনি অন্য গ্রামবাসীদের জানান।তার কথা শুনে লক্ষ্মীরাম মুর্মু,গুপিন সোরেন, বৈদ্যনাথ সোরেনরা সেই ভাবেই মোমবাতি – ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাত জাগেন।ঐ গ্রামেরই বাসিন্দা রামগোপাল দেবনাথ।তার স্ত্রী ললিতা দেবনাথও এইভাবে মোমবাতি – ধূপকাঠি জ্বালিয়ে করোনা আটকানোর জন্য প্রার্থনা করেন।তার মেয়ে মনি কুশকারি থেকে একথা জানিয়েছে।তাকে আবার শিলিগুড়ি থেকে জানিয়েছে তার ননদ।এদিকে এই ফোন পাগলিগঞ্জ থেকে এসেছে।আবার যশাহার, জন্তীগ্রামেও এভাবে করোনা তাড়াতে মানুষ এই একই কাজ করে বলে জানা যায়।
এই ভাবে করোনা ভাইরাস তাড়ানোর ঘটনায় আলোড়ন পরে যায় হাসইলের বিভিন্ন পাড়ায়।আগের দিন রাতের ঘটনা পরের দিন জানাজানি হতেই গ্রামের মানুষ ভীড় করতে থাকে।
রঞ্জন মার্ডি, ললিতা দেবনাথ রা জানান, আমরা ভাবলাম এভাবে বুঝি করোনা আটকাতে পারবো।তবে ঐ একই গ্রামের বাসিন্দা মানিক হেমরম।তিনি কিন্ত এটা করেননি।
পাশের পাড়ার অমল মন্ডল, পলাশ মন্ডলরা পরের দিন সকালে উঠে এই ঘটনা শুনে অবাক হয়ে যান।অযোধ্যা কে ডি বিদ্যানিকেতনের পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ মন্ডল বলেন ‘করোনার আতঙ্ক এমন জায়গায় পৌছেছে যে মানুষ যে কোন কিছুকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন।তাই এই 2020 সালেও এই ঘটনা দেখতে হচ্ছে।এটা একটা কুসংস্কার।জানার পরেই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে সচেতনতার পাঠ দিয়েছি দূরত্ব বজায় রেখে।
হাত ধুতে বলেছি।জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে বলেছি।ওনারা বুঝেওছেন।করোনা সম্পর্কে সচেতনও হয়েছেন।বাড়িতেই থাকবেন জানিয়েছেন’বালুরঘাট থেকে পাঁচ- ছয় কিলোমিটার দূরে হাসইল গ্রাম।বিজ্ঞানের অগ্রগতি বহু ক্ষেত্রে অগ্রসর হলেও মৃত্যুভয় এলে মানুষ যে এখনও খড়কুটোর মত অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকেই আঁকড়ে ধরে তা আরও একবার দেখাল হাসইল।তবে হ্যাঁ, হাসইল বাসী শেষে জানিয়েছেন যে তারা করোনা সম্পর্কে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে আর এমন করবেন না বরং মেনে চলবেন স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক নির্দেশ।