কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের মানবিক মুখ দেখলো হায়দ্রাবাদে করোনা ভাইরাসের জেরে আটকে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ এর সাত শ্রমিক
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের মানবিক মুখ দেখলো হায়দ্রাবাদে করোনা ভাইরাসের জেরে আটকে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ এর সাত শ্রমিক
তন্ময় চক্রবর্তী। আবারো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের মানবিক মুখ দেখলো হায়দ্রাবাদে করোনা ভাইরাসের জেরে আটকে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ এর সাত শ্রমিক। নিতান্ত অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে তারা। গত দুদিন ধরে হায়দ্রাবাদের একটি হোটেলের কামরায় আটকে আছেন তারা।
সেখান থেকে তারা বাইরে বেরোতে পারছেন না। হাতে তাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নেই ফলে খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় গতকাল তারা সেখান থেকে ফোন করেন কালিয়াগঞ্জ এর পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালকে।তাদের এই করুণ অবস্থার কথা মাথায় রেখে আজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পৌরপতি তাদের পাঠালেন ৫০০০ টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে। ফলে আজ তারা সেই টাকা পেয়ে সকলে মিলে সেখানেই খেতে পারলেন। উল্লেখ্য গত একমাস আগে কালিয়াগঞ্জ এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ জন শ্রমিক কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর করোনা ভাইরাস এর জেরে তাদের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে এবং তারা এতটাই নিরুপায় হয়ে পড়ে যে বাড়ি ফিরতে পারেনি তারা। কারণ তার আগেই সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় তাদের কাছে খাদ্যের সংস্থান করায় দুস্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে তারা কালিয়াগঞ্জ এর পৌরপতি কে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভিডিও মারফত আবেদন করেন করে যে তারা কয়দিন ধরে না খেতে পেয়ে সবাই একসাথে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রয়েছেন। পরবর্তীতে এই খবর শোনার পর কালিয়াগঞ্জ এর পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের সমস্যার কথা টেলিফোন মারফত শোনেন। এরপর আজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি তাদের খাবারের জন্য ৫০০০ টাকা পাঠিয়ে দিলেন তাদের ব্যাংক একাউন্টে।
ফলে খুশি যে সমস্ত শ্রমিকরা যারা গত ক’দিন ধরে কিছুই খেতে পারছিলোনা আর্থিক অভাবে আজ তারা একটু খেতে পারলেন। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, যে সমস্ত শ্রমিকরা হায়দ্রাবাদে আটকে রয়েছেন তারা সকলেই কালিয়াগঞ্জ এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা । তারা কাজের সন্ধানে হায়দ্রাবাদে গিয়েছিল। হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস এর জেরে যখন সারা ভারতবর্ষে ব্যাপী লকডাউন হয়ে যায় তখন তারা বিপদের মধ্যে পড়ে যান। কোনরকমে তারা হায়দ্রাবাদে একটি হোটেলের কামরার মধ্যে রয়েছেন একসাথে সবাই মিলে। তারা সকলেই তাকে ফোন করে বলেছেন তারা বাড়ি ফিরতে চায় ।
এমন অবস্থায় এরপর আমি চেষ্টা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে টুইট করে জানিয়েছি যে কালিয়াগঞ্জ এর এই শ্রমিকরা যারা আটকে রয়েছে হায়দ্রাবাদে তারা যাতে কালিয়াগঞ্জে ফিরতে পারে এটা মানবিকতার সাথে দেখার জন্য।
এর পাশাপাশি তিনি জানান হায়দ্রাবাদে যে সমস্ত শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন তারা গত দু’দিন ধরে খেতে পারছিলেননা আর্থিক অভাবের জন্য। কারণ তাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। এমন অবস্থায় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ তাদের ব্যাংক একাউন্টে ৫০০০ টাকা পাঠিয়ে দিলেন ।এদিকে এই খবর চাউর হতেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের মানবিক মুখের প্রশংসা করল কালিয়াগঞ্জ এর বাসিন্দারা।
এত বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন। এটা খবরের কাগজ না বিজ্ঞাপনের ভাণ্ডার