জনতা কার্ফু জনস্বার্থে , পালিত হোক নিঃস্বার্থে। আগামী ২২শে মার্চ, রবিবার।
1 min readজনতা কার্ফু জনস্বার্থে , পালিত হোক নিঃস্বার্থে। আগামী ২২শে মার্চ, রবিবার।
জয়ন্ত বোস,বর্তমানের কথা। আতঙ্ক, আতঙ্ক আর আতঙ্ক।তবে আতঙ্কের কোনো বিষয় নেই। একটাই আবেদন আতঙ্ক ছড়াবেন না, গুজব রটাবেন না। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা। এই মুহূর্তে ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। দেশবাসী ও বঙ্গবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবেদন রেখেছেন সাবধানতা অবলম্বনের জন্য।তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ” জনতা কার্ফু ” । আসুন আজকের প্রতিবেদনে এই নিয়ে আলোকপাত।গবেষক দের মতে করোনা ভাইরাসের
একটা জায়গায় ১২ ঘন্টার বেশি বাঁচতে পারে না। আর এই ১৪ ঘন্টার কারফিউ এর ফলে মানুষ বাড়ি থেকে না বেড়ালে,একখানে জমায়েত না হলে ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শ এ না এলে এই একদিন ১৪ ঘন্টা ভাইরাস এর সংক্রমণ এর চেন টা ভেঙে যাবে। রবিবার ছুটির দিন কেনো বাছা হলো কারন ছুটির দিনে বেশি সংখ্যক মানুষ বাইরে একত্রিত হয়।যেহেতু ছুটির দিন বাধ্যতামূলক বাইরে বেড়ানোর প্রয়োজন তেমন থাকে না। ভারতে প্রায় ১২৫ কোটি মানুষ। তার এক চতুর্থাংশ সংক্রামিত হলে ত্রিশ কোটির বেশি। সেই চাপ সামলানোর মতো পরিকাঠামো ভারতে কেন, কোথাও নেই। সংক্রামিত রোগীদের দশ শতাংশের যদি আইটিউ বা ভেণ্টিলেটর লাগে, তবে তিন কোটি। সমগ্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে চাপে। করোনায় মৃত্যুর হার বেশি নয় বলে যাঁরা সচেতনতা বৃদ্ধির সরকারি প্রচারকে অহেতুক আতঙ্ক বলে বিদ্রূপ করছেন, তাঁদের জানাই, চিকিৎসা না পেলে কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক বাড়বে। আর এই রবিবার জনতা কারফিউ এর মাধ্যমে আমরা ভাইরাস সংক্রমণ এর চেন টা যদি ভেঙে দিতে পারি আমরা ভারতবাসী বেঁচে যাবো। তাই আসুন আমাদের সকলের জন্য, পরিবারের সকলের জন্য, সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য ও সর্বোপরী আমাদের দেশবাসীর জন্য জনতা কার্ফু তে সামিল হই এবং সকলকে আহ্বান করুন সামিল হতে। এই মারণ ভাইরাসকে ঠেকাতে এই পদক্ষেপ।