স্মার্টফোনের দৌলতে সরস্বতী পুজোর দিনেও মাছি তাড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের স্টুডিয়োগুলি
1 min readসরস্বতী পুজোর দিনেও মাছি তাড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের স্টুডিয়োগুলি
তন্ময় চক্রবর্তী। স্মার্টফোনের দৌলতে সরস্বতী পুজোর দিনেও মাছি তাড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের স্টুডিয়োগুলি। স্টুডিও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, একটা সময় ছিল যখন সরস্বতী পুজোর দিন স্টুডিওতে ছবি তোলার ধুম পড়ে যেত। রীতিমতো লাইন দিয়ে ছবি তুলত অনেকে। কিন্তু এখন স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা স্টুডিওমুখী আর হয় না। সরস্বতী পুজোতে দিনভর হই হুল্লোড় করে স্কুল-কলেজ ও পার্কে স্মার্টফোন ও দামি ক্যামেরায় ছবি তুলে তারা দিন কাটায়। যদিও পুরোনো প্রজন্মের কিছু শহরবাসীর দাবি, তাঁরা এখনও প্রয়োজন হ
লেই স্টুডিওমুখী হন।এক স্টুডিওর কর্মী বলেন, আগে সরস্বতীপুজোর দিন প্রচুর মানুষ ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে এসে ভিড় জমাত। সেই ভিড়ের বড় অংশটাই হতো কমবয়সী ছেলেমেয়েরা। এখন নতুন প্রজন্মের হাতে স্মার্টফোন ও দামি ক্যামেরা থাকায় আর তারা স্টুডিওতে আসে না। নিজের হাতেই মোবাইলে ছবি তোলার কাজ সেরে নিচ্ছে।কালিয়াগঞ্জ এর এক তরুণী পিয়া গুপ্তা বলেন, একে তো স্টুডিওতে গিয়ে একটি ছবি তুলতে অনেক টাকা লাগে। আবার সেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায় না। তাই মোবাইল বা ক্যামেরায় ছবি তুলে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায়। বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা যায়। সেই কারণে আর আমাদের স্টুডিওমুখী হতে হয় না।
কানাই মোহন্ত নামে এক কলেজ পড়ুয়া বলেন, স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলে একই রকমের ব্যাকগ্রাউন্ড হয়ে যায়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুললে সেই ছবি দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এখন তো নিজের ক্যামেরাতেই বন্ধুদের ছবি তুলতে পারছি। সেই কারণে আর স্টুডিওতে যেতে হয় না।আবার এর বিপরীত মতও রয়েছে। হিরন রায় নামে এক মধ্যবয়স্ক শহরবাসী বলেন, যতই স্মার্ট ফোন আসুক না কেন, স্টুডিওতে এসে ছবি তুলে রাখার অনুভূতিটা আলাদাই হয়। আমরা আগেও স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলেছি। আর এখনও কোনও অনুষ্ঠান এলে স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য স্টুডিওতে এসেই ছবি তুলি।এদিকে কালিয়াগঞ্জ এ সরস্বতীপুজো উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে।কালিয়াগঞ্জ এর সুকান্ত মোর, মহেন্দ্রগঞ্জ, ছাড়াও বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী হাইস্কুলের থিম পুজোকে ঘিরে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, গার্লস কলেজ, কালিয়াগঞ্জ এর বিএড কলেজেও ছাত্রছাত্রীদের ঢল নামে। আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষকে দেখা যায়। এছাড়াও কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলঅন্যদিকে, কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস সজাগ ছিল। বাইকে রোমিওদের তাণ্ডব রুখতে কালিয়াগঞ্জ এর ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকেও নানা জায়গায় কড়া নজরদারি চালানো হয়।