কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে বাউল ও লোকশিল্পীরা ব্রাত্য কেন প্রশ্ন করছে লোক শিল্পীরাই?
1 min readকালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে বাউল ও লোকশিল্পীরা ব্রাত্য কেন প্রশ্ন করছে লোক শিল্পীরাই?
তপনচক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ- আসলে সেই একই ট্র্যাডিশন আজও সমান তালেই চলছে।এর কোন পরিবর্তন নেই সরকারী অনুষ্ঠানেও।গত২০শে জানুযারী থেকে ২১শে জানু যারী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গ পুর উচ্চবিদ্যালযের মাঠে দুইদিন ব্যাপী উত্তরবঙ্গ উৎসবের উত্তর দিনাজপুর জেলার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানী।
গতানুগতিক প্রথা অনুযায়ী মন্ত্রী তথা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় অভূতপূর্ব আদিবাসী নৃত্য ও মুখা নৃত্যের মাধ্যমে তাদের স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা যথারীতি করা হয়।শোভা যাত্রায় সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য আমাদের আদিবাসী শিল্পী বোনদের এবং আমাদের জেলার লোকসংস্কৃতি মুখা নৃত্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কিন্তূ তারপরে গোটা দুই দিনের অনুষ্ঠানে কি আদিবাসীদের ঝুমুর নৃত্য অথবা লোকসংস্কৃতির বাহক মুখা নৃত্য এদের কাউকেই মুলমঞ্চে ১৫ মিনিটের জন্যও কোন অনুষ্ঠান করবার সুযোগ করে দেওয়া হয়না কাদের শ্বার্থে?উত্তরবঙ্গ উৎসবে যাদের মঞ্চে বেশি বেশি করে সুযোগ করে দেওয়া উচিত,সুযোগ পাওয়া উচিৎ তাদেরকে সুযোগ না দিয়ে তাদের নিয়মিতভাবে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে।আদিবাসী নৃত্য শিল্পী
এবং মুখা নৃত্য শিল্পীদের অভিযোগ,তাদের কে মূল মঞ্চে কেন অনুষ্ঠান দেওয়া হয়না?তারা কি অন্য কোন শিল্পিদের চেয়ে কোন অংশে কম?তাদের আদিবাসী নৃত্য কি সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেনা?ঠিক একই বক্তব্য মুখা নৃত্য শিল্পীদের।তাদেরকেও মঞ্চে কোন অনুষ্ঠান দেওয়া হয়না কোন কারনে?মুখা শিল্পীদের বক্তব্য যাদের জন্য উত্তরবঙ্গ উৎসব অথচ তাদের কথা একবারের জন্যও না ভেবে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে এমন শিল্পীকে গান গাইবার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে যে গান আর যাই হোক এই সব মঞ্চে মানায় না।জনৈক বাউল শিল্পী বলেন আমাদের বিধায়ক তার বক্তব্যের এক জায়গায় বললেন উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে লোকশিল্পীরাই সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ বেশি করে পাবে।অথচ অনুষ্ঠানের সময় তার উল্টো টাই হতে থাকলো। কালিয়াগঞ্জের কোন লোকশিল্পী এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পায়নি।আদিবাসী ও মুখা নৃত্য শিল্পীদের অভিযোগ তাদেরকে শুধুমাত্র শোভা যাত্রায় এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাগত জানানোর জন্যই কি তারা নৃত্য অনুশীলন করে?তাদের কি মঞ্চে অনুষ্ঠান করবার কোন যোগ্যতা নেই?আসলে আদিবাসী নৃত্য শিল্পী মুখা নৃত্য শিল্পী বাউল ও লোকশিল্পীদের এখনও অনেকেই বাঁকা চোখে দেখে থাকে।এর পরিবর্তন আজও হয়নি অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ এর বাউল লোকসংগীত শিল্পী বিনয় কৃষ্ণ মোহন্ত ও কাজল মহন্ত জানান, তারা সরকার স্বীকৃত শিল্পী র তালিকায় থাকলেও কালিয়াগঞ্জ এ সরকারি অনুষ্ঠানে কোন ডাক পাচ্ছেন না গান গাইবার। তাহলে তাদের সরকারিভাবে শিল্পীর স্বীকৃতি দিয়ে কি লাভ। তরঙ্গপুর উত্তরবঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সেখানেও তারা ডাক পেলেন না। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।অথচ হাজার হাজার টাকা খরচা করে বাইরে থেকে শিল্পীদের এখানে নিয়ে এসে গান গাওয়ানো হয়েছে। শিল্পী কি এই মর্যাদা। বিনয় কৃষ্ণ মহন্ত আরো বলেন তিনি বহুদিন ধরে লোকজ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে।বহু জায়গায় গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অথচ নিজের জায়গায় যখন সরকারি প্রোগ্রাম হচ্ছে তখন তার কোন দাম থাকে না। এ বিষয়ে আগামী দিনে সরকারের নজরদারির খুবই দরকার। যাতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে তারা সুযোগ পায়।