December 23, 2024

পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সহায়তায় কালিয়াগঞ্জ সুচেতা কলা কেন্দ্রর নবতম নাট্য প্রযোজনা “বসন্ত শেষে”

1 min read

পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সহায়তায় কালিয়াগঞ্জ সুচেতা কলা কেন্দ্রর নবতম নাট্য প্রযোজনা “বসন্ত শেষে”

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৮নভেম্বর: জনৈক কীর্তন সাধিকা, কৃষ্ণ ভামিনীর জীবনচর্যা উপজীব্য করে পত্রাবলি চক্রবর্তী রচিত নাটকটি মঞ্চস্থ হয় কালিয়াগঞ্জ নজমু নাট্য নিকেতন মঞ্চে। প্রতিকূল সামাজিক পরিবেশে বহুদিন বাস করেও কৃষ্ণভাবিনি তার কীর্তন সাধনা। এবং ঈশ্বর প্রেমের পথ থেকে বিচ্যুত হয় না, কৃষ্ণ ভামিনীর সাথে শ্রীখোল সঙ্গতকারী গগন পেশায় রিক্সাওয়ালা হলেও কৃষ্ণভাবনীর কন্ঠ মাধুর্য ও গায়কীতে সর্বদা অনুরক্ত থাকে। কৃষ্ণভাবনী তার দুই পালিতা কন্যা রাধা ও রুক্মাকে তার শিক্ষা দিয়ে

পদকীর্তনের পরম্পরা বজায় রাখতে চায়। যদিও তার এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। রাধা একজন ব্রাহ্মণ সন্তানের প্রেমে পড়ে কৃষ্ণভামিনিকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়, যদিও যাওয়ার আগে নবদ্বীপের আসরে বয়সজনিত কারণে গায়কী নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষ্ণভামিনির সম্মানহানি প্রতিরোধ করে তার কণ্ঠমাধূর্য আর রুপমাধূর্য দিয়ে। রাধার চলে যাওয়ার পর কৃষ্ণভামিনির কাছে জীবন যখন অর্থহীন মনে হয়, তখন খোলঞ্চি গগন তার মধ্যে পুনরায় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।কৃষ্ণভামিনির চরিত্রে সংগ্রামী ভট্টাচার্য এবং গগনের চরিত্রে গৌরাঙ্গ সাহার অভিনয় অনবদ্য। রাধা ও রুকমার চরিত্রে অঙ্কিতা দাস ও শিবরঞ্জনি ব্যানার্জী বেশ প্রাণবন্ত। দুটি ছোট চরিত্রে অনিকেত পাল এবং সম্রাট দে যথাযথ। তবে সব চাইতে নজর কাড়ে ‘ কৃষ্ণ ‘ সাজে গৌরাঙ্গ পালের সংলাপ হীন অসাধারণ উপস্থাপনা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. কঙ্কনা মিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা এই নাটকের অন্যতম প্রধান সম্পদ। আলোকশিল্পি দীপঙ্কর দে এই নাটক কে পূর্ণতা দান করেছেন বিশেষ নৈপুণ্যে। বাংলার পদ – কীর্তন এবং কির্তনিয়ার জীবনের উপর আধারিত এই অভিনব প্রযোজনাটি দর্শকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *