October 23, 2024

আলোর উৎসব দুয়ারে,তাই কুনোর হাট পাড়ার মৃৎশিল্পীরা দিনরাত মাটির প্রদীপ বানাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে-

1 min read

আলোর উৎসব দুয়ারে,তাই কুনোর হাট পাড়ার মৃৎশিল্পীরা দিনরাত মাটির প্রদীপ বানাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে-

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৬ অক্টোবর: আলোর উৎসব দীপাবলি দুয়ারে চলে আসায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনোরের হাট পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা মাটির রকমারি প্রদীপ বানাতে চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে তাদের কাটাতে হচ্ছে। এই গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা সাধারনত টেরাকোটার আদলে উন্নত মানের প্রদীপ।বানিয়ে থাকে।মৃৎশিল্পী দুলাল রায় জানান বিদেশি টুনি বাল্প এক সময় দীপাবলির বাজার দখল করলেও এ বছর বিদেশি আলোর প্রতি মানুষের ঝোঁক অনেকটাই কমে গেছে।

এ বছর দীপাবলির আলোর উৎসবে সাধারন মানুষদের চাহিদার অনেকটাই পরিবর্তনের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। দীপাবলির আলোর উৎসবে গৃহস্তের বাড়িতে সাধারনত ছোট ছোট মাটির প্রদীপ ব্যবহার হয়ে থাকে। বছর কয়েক আগে ভারতীয় জওয়ানরা চীনের জোয়ানদের হাতে নিহত হবার ঘটনায় ভারতীয়রা চীনের উৎপাদিত দ্রব্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবাদের ঢেও আছড়ে পড়ে।এই কারনে শুরু হয়েছিল চিনা পণ্য বয়কো টের সিদ্ধান্ত।তার কারনে ভারতীয় বাজারে অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়েছিল মাটির প্রদীপের কদর।

টুনির দাপট কমাতে এবারে কুনোর হাট পাড়ার মৃৎ শিল্পীদের মুখের হাসি বর্তমানে চওড়া হয়েছে বলা যেতে পারে। হাট পাড়ার মৃৎশিল্পীরা মাটির প্রদীপ বানানোর সাথে সাথে তাদের উন্নত মানের টেরাকোটার নানান রকমের প্রদীপ বানিয়ে ইতিমধ্যেই সুনাম অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। হাট পাড়ার রাজ্য স্তরের পুরস্কার প্রাপ্ত মৃৎ শিল্পী গোপাল রায়,দুলাল রায় জানান আমরা আমাদের মত করে প্রদীপের ঝার, আলাদিনের চিরাগ প্রদীপ, পঞ্চ প্রদীপ, ম্যাজিক প্রদীপ্,গনেশ প্রদীপ বেশি বেশি করে বানানো হচ্ছে। এসবের চাহিদা এবার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।তবে সাথেসাথে মাটির দামও অনেক বেড়ে গিয়েছে।যেমন পূর্বে যেখানে ৬০০থেকে ৭০০টাকার মাটি।কিনতে হত এখন সেই মাটি কিনতে হচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০টাকায়।মাটির দাম বৃদ্ধির একমাত্র কারন দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গেও শুরু হয়েছে সিন্ডিকেট রাজ। মৃৎ শিল্পীরা জানায় এখন তারা সরাসরি মাটি কিনতে পারেনা।তাদের রায়গঞ্জের দুটি জায়গা থেকে মাটি কিনতে হয় এক প্রকার বাধ্য হয়ে। তবুও আমাদের আশা এবার হয়তো লাভের মুখ আমরা দেখবো ভাবছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *