October 27, 2024

পুরসভাকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে নর্দমা সাফাইয়ের বিশেষ অভিযানে নামার নির্দেশ

1 min read

পুরসভাকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে নর্দমা সাফাইয়ের বিশেষ অভিযানে নামার নির্দেশ

জল জমা এবং মশা বাহিত রোগ ঠেকাতে বর্ষা শুরুর আগেই কোমর বাঁধছে রাজ্য। সেই লক্ষ্যে পুরপরিষেবা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুসংহত নীতি তৈরি করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ১২ এপ্রিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুর কর্পোরেশন ও পুরসভা মিলিয়ে মোট ১২৬ জন মেয়র/চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। জল জমা বন্ধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন তিনি। তার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নয়া নীতি অনুযায়ী, সব পুরসভা সেচদপ্তর, জেলাশাসক-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তার রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, এটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এখন থেকেই ড্রেনগুলি সাফাইয়ের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। কাজটি কলকাতায় চলছে। নিকাশি খালগুলির নাব্যতা বৃদ্ধিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।চিঠিতে পুরমন্ত্রী লিখেছেন, এখনই সব পুরসভাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। দেরি হলে বর্ষাকালে সমস্যা বাড়বে।

ফিরহাদ হাকিম আরও লিখেছেন, মশাবাহিত রোগের প্রকোপ এবছর অনেকটাই কমেছে। তবু এখন থেকেই উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে এগতে হবে। জল জমা এবং ডেঙ্গু রোধে গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনার একটি রূপরেখা এই পত্রের সঙ্গে থাকছে। সমস্ত পুরসভাকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে নর্দমা সাফাইয়ের বিশেষ অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্ভাড ড্রেনগুলিতে আবর্জনা জমা বন্ধ করতেই হবে। খালগুলির সমস্ত স্লুইচ গেট এবং ফ্ল্যাপ শাটারের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে ২০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।

 

 

 

 

সেখানে কোনও গেট সার্বিকভাবে বেহাল হলে তা তাড়াতাড়ি মেরামত করতে হবে। একইভাবে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলির পর্যবেক্ষণ করে তার কার্যকারিতা মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যেই স্টেশনগুলিতে স্ট্যান্ডবাই পাম্প মজুত রাখতে হবে, যাতে ভরা বর্ষায় প্রয়োজনে সেসব বদল করা যায়।পুরদপ্তরের নয়া রূপরেখায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। কারণ, গতবছর বৃষ্টির জল জমার পর তড়িদাহত হয়ে গোটা রাজ্যে কয়েকজন মারা গিয়েছেন। সূত্রের দাবি, বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের এই বিষয়ে বার বার সতর্ক করেও লাভ হয়নি। নয়া নীতি অনুযায়ী, বড় ঝড় কিংবা অতি বর্ষার কারণে গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হলে সেই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত বন্ধ করে কাজে নামতে হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। কোথাও যেন খোলা ইলেকট্রিক্যাল জংশন বক্স না থাকে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে এটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। খাল সংস্কারের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ রয়েছে সেচদপ্তরের বিরুদ্ধে। এবছর তাদের বাড়তি তৎপর হতে বলা হয়েছে। প্রতিটি পুরসভায় ভেক্টর কন্ট্রোল মনিটরিং অফিসার ডেঙ্গু রোধে কাজ করবেন। লাগাতার প্রচারের মাধ্যমে বাসিন্দাদের সচেতন করতে হবে। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে চিহ্নিত করতে হবে এলাকা ভিত্তিক ‘হট স্পট’ জোন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *