ইটাহারে তৃণমূলের খেল খতম একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন ইটাহারের বেতাজ বাদশা অমল আচার্য।
1 min readইটাহারে তৃণমূলের খেল খতম একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন ইটাহারের বেতাজ বাদশা অমল আচার্য।
তনময় চক্রবর্তী। মমতার বাংলায় খেল খতম হয়ে গিয়েছে। কারণ পঞ্চায়েত এর ছাপ্পা ভোটের খেল মনে করছে ওরা। এটা ছাপ্পা ভোটের খেল হবে না। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিবে। ইচ্ছামত ব্যালট নিলাম আর জোরদার সে ছাপ্পা ভোট দিলাম সেইদিন খতম হয়ে গিয়েছে মমতার। পঞ্চায়েতের সেই ছাপ্পা এখানে খাটবে না। আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন তৃণমূলের তরফ থেকে আগামী দিনে যদি কোনো বড় অফার আসে তাহলে কি করবেন আপনি এই উত্তরে সরাসরি অমলবাবু জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন মুখ নিয়ে তার সাথে কথা বলবেন।
সেই মুখ কি তার আছে। অমল আচার্য বলেন রাজ্যের কোন রাজনৈতিক দলের পিকে লাগেনা অথচ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পিকেকে লাগে রাজ্যে এত উন্নয়ন করেও। তিনি এ রাজ্যের সাধারণ মানুষদের নিয়েই থাকতে পারতেন। কিন্তু পিকে কেন লাগলো ওনার। অমলবাবু আরো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি আরো দুই-একটা ভাইপো থাকতো তাহলে আরো কয়েকটা পিকে লাগতো।
এদিন অমল আচার্য বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি করা ব্যক্তি জীবনের রাজনীতি করার কোন প্রয়োজন নেই। বড় কিছু করব, মানুষের ভালো করব, মানুষের পাশে থাকব। এলাকার উন্নয়ন করবো ,জেলাজুড়ে উন্নয়ন করব এই জন্যই রাজনীতি করি আমি।তিনি বলেন মানুষের প্রয়োজন কে মাথায় নিয়ে যতটা পেরেছি ইটাহার বাসীর জন্য উন্নয়ন করেছি। অগ্রাধিকার দিয়ে সে গুলোকে করার চেষ্টা করেছি। অমলবাবু বললেন এই জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে ৯ থেকে ৪২ এ নিয়ে গিয়েছিলাম।২ থেকে ৫ জন বিধায়ক তার সময় কলে হয়েছিল দলের।কিন্তু তৃণমূল দলটা বর্তমানে ১৬ সালের পর থেকে অন্য রকম ভাবে চালিত হচ্ছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে দেখে আমি রাজনীতি করতাম। কিন্তু তার ও এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে দল।
তার ইচ্ছা তেই হোক কিংবা অনিচ্ছাতে হোক ।কিন্তু দল টা তে দেখা যাচ্ছে যেটা বিরোধী পক্ষ রা বলতো কা ট মানি ও তোলাবাজির দল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখছি সেটা হাড়ে হাড়ে মিলে যাচ্ছে।আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে দলের তরফ থেকে তাদের গুণগত মান ঠিক করা হয়েছে কে কত টাকা দিবে তার ওপর। এটাই হলো তাদের লক্ষ্য।অমলবাবু এদিন অভিযোগ করে বলেন দিদির যারা পার্শ্ব চর দিদি তাদের কে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে।তাই সেই বিশ্বাসের খেসারত দিদিকে দিতে হবে।তারা তাদের আখের গুছিয়েছে ব্যাক্তি স্বার্থে। দলের স্বার্থে তারা কিছু করেনি।
দল চুলায় যাক তারা তাদের নিজেদের আখের কে গুছিয়েছে।তিনি বলেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন আর দিদি নেই। দিদির কাছে কোন বিচার চেয়ে আমি পাই নি।দিদি এখন চোখে শুনে আর কানে দেখে।তাই কান দিয়ে দেখেছে দিদি।আর এর মধ্যে যারা যারা বাণিজ্য করার তারা তারা বাণিজ্য করে নিয়েছে।তিনি বলেন এটা দিদির শেষের শুরু।তাই শেষের সময় অনেক কিছু হয়।তার লক্ষণ এগুলো। তিনি বলেন ইটাহার বাসীর জন্য তার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যেগুলো র জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবেন ।জমি অধিগ্রহণ শেষ, মাটির কাজও শেষ।
কিছু কালভার্ট এর কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। চেকপোস্ট থেকে ইটাহার পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ। সেখানে ফিসপ্লেট পড়ে গিয়েছে। আর ইটাহার থেকে যেটা রায়গঞ্জ সেখানে জমি অধিগ্রহণ কিছু বাকি রয়েছে। এটা হয়ে গেলে এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোন জংশন নেই।অমল বাবু বলেন ইটাহারে রেক পয়েন্ট ও জংশন হয় যেটা রেলওয়ের প্ল্যানিং এ আছে।যেটা হয়ে গেলে অর্থনৈতিক দিক থেকে ইটাহার এর মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে। এবং রেল যোগাযোগের সুবিধা হবে। এই প্রকল্পটির তৈরি হয়ে গেলে এটার থেকে মাত্র ছয়ঘণ্টা তেই কলকাতায় চলে যেতে পারবে সাধারণ মানুষ ট্রেনে করে। অমলবাবু এদিন আরো বলেন তিনি দুইবার বিধায়ক থাকা কালীন সাত থেকে আটটি ব্রিজ তিনি তৈরি করেছেন ।তিনি বলেন যোগাযোগ ব্যাবস্থার উপর তিনি সব সময় গুরুত্ব দিয়ে আসছিলেন । তাই অনেক রাস্তা তৈরি হয়েছে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায়। অমলবাবু বললেন ইটাহার কে একসূত্রে বাঁধ তে হলে একটা বিপদজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুর্গাপুরের ব্রিজ । যেকোনো মুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই ব্রিজ টির ডিপিআর তৈরী হয়ে গিয়েছিল কিন্তু অর্থের অভাব এর জন্য ব্রিজ টি সম্পন্ন হয়নি।অমলবাবু সাক্ষাতকারে বলেন কোন একটি জায়গার উন্নতি তখনই সম্ভব যখন সেই জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক থাকে। আর তাই তিনি সব সময় গুরুত্ব দিয়েছিলেন যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে। তিনি বলেন তাঁর আরও দুটি স্বপ্ন রয়েছে যার মধ্যে একটি হলো মাল্টিপারপাস হিমঘর। যেটা এখানকার কৃষকদের জন্য খুবই প্রয়োজন। উৎপাদিত ফসল স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিতে হয়। সেখানে কৃষকরা যদি তাদের উৎপাদিত হিমঘরে রাখতে পারে তাহলে কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হবে। এছাড়া এখানে একটি মহিলা কলেজের বিশেষ দরকার। অমল আচার্য বলেন তারা যে স্বপ্নগুলো এখনো পূরণ হয়নি সেগুলো সবই রাজ্য সরকারের গাফিলতির জন্যই হতে পারেনি।
তিনি বহুবার বিভাগীয় দপ্তরের কাছে দরবার করলেও কোনো লাভ হয়নি। অমলবাবু বললেন ইটাহারে আরেকটি সমস্যা রয়েছে সেটি হল নদী ভাঙ্গন এর সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে তিনি অনেক কদম কাজ করেছেন।পাশাপাশি ইটাহারের বিভিন্ন জায়গায় জল কষ্ট দূর করার জন্য বেশকিছু জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এর মারফতে পিএইচই করা হয়েছে। অন্যদিকে হাজারো উন্নয়নমূলক কাজ করার পরেও আপনি কেন টিকিট পেলেননা তৃণমূলের ? ইটাহার কেন্দ্রে কি প্রশান্ত কিশোরের টিম আপনার কাজের মূল্যায়ন এর রিপোর্ট দলীয় নেত্রীকে পাঠায় নি ? যার কারনে আপনি টিকিট পেলেননা । এই কথাটা কতটা সত্যি। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন পিকে তো তার সামনে কান ধরে বলেছিল । হাম এক হি নাম ভেঝা থা । ইটাহার সে আপকা বিকল্প কোই নেহি হে। হাম এক হি নাম ভেজা থা। ওয়া কিয়া হউয়া আগ্র বাগড়া ।যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বল শেখতে হ্যায় হুম নাহি বল শখতে হয়। বাঘেরা বাঘেরা কিয়া হুয়া হাত নেড়ে নেড়ে সেটা বুঝার এর অপেক্ষা রাখে না ।অমলবাবু বললেন উপর লেভেলে কি লেন দেন হয়েছে আমি জানি না তবে আমি গরীব মানুষ অত টাকা নেই আমার।আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করি।সমাজসেবা না করলে রাজনীতি হয় না ।তাই আমি বাগড়া বাগড়া টা বুঝি না ।তিনি বলেন জেলার নয়টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঠিক হয়েছে এমন করে ।তিনি বলেন ১৬ সালের পর থেকে এই তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সমঝোতা হলো তখন ২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাস্ট মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন ইটাহারে অমল আচার্য কে প্রার্থী করে। এই মাস্টার স্ট্রোক এ দিদি খমতায় এসেছিল।এবার ২০২১ সালে দিদি যখন লিস্ট পড়ছে লিস্টের প্রথমে দিদি বলছে এবার আর ইটাহার কেন্দ্র থেকে অমল আচার্য কে প্রার্থী করা যাচ্ছে না। এই মাসটা স্ট্রোকে ২০২১ সালে তিনি চলে যাবেন ।অমলবাবু বললেন উপর লেভেলে কি লেন দেন হয়েছে আমি জানি না তবে আমি গরীব মানুষ অত টাকা নেই আমার।আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করি।সমাজসেবা না করলে রাজনীতি হয় না ।তাই আমি বাগড়া বাগড়া টা বুঝি না ।তিনি বলেন জেলার নয়টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঠিক হয়েছে এমন করে ।তিনি বলেন ১৬ সালের পর থেকে এই তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সমঝোতা হলো তখন ২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাস্ট মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন ইটাহারে অমল আচার্য কে প্রার্থী করে। এই মাস্টার স্ট্রোক এ দিদি খমতায় এসেছিল।এবার ২০২১ সালে দিদি যখন লিস্ট পড়ছে লিস্টের প্রথমে দিদি বলছে এবার আর ইটাহার কেন্দ্র থেকে অমল আচার্য কে প্রার্থী করা যাচ্ছে না। এই মাসটার স্ট্রোকে ২০২১ সালে তিনি চলে যাবেন ।অমল আচার্য বলেন ইটাহারে তিনি বিধায়ক থাকাকালীন যে যে কাজগুলো করেছেন তার ফায়দা ইটাহার বাসী পাবে।তিনি বলেন এর ফায়দা কোন রাজনৈতিক দল পাবে না।তবে তিনি যেটা বলবেন মানুষ সেটা ভালোবেসে নিবেন ।আর ভোটের বক্সে তার প্রতিফলন হবে ।এখানে বিজেপি প্রার্থী জিতবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী মোশারফ হোসেন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেন তার হাত ধরে মোশারফ হোসেন রাজনীতি শুরু করে।আজ সেই মানুষ ই আমার সাথে চক্রান্ত করেছে। যাদের মধ্যে বিষ রয়েছে যাদের মধ্যে হিংসা রয়েছে যাদের মধ্যে চক্রান্ত রয়েছে। অমলবাবু বলেন অনেক জায়গায় কাটিং করতে হয় তো মানুষের সামনে। তাই অমল আচার্য সম্বন্ধে নিন্দা করে ইটাহারে কোন ফায়দা পাবে না মোশাররফ হোসেন বুঝে গিয়েছে। তিনি বলেন কে চিনত মোশারফ হোসেন কে আমি জানি না ।আমি যদি মোশারফ কে তুলে না ধরতাম তাহলে তাকে কেউ চিনত না ।তিনি বলেন ইটাহারের সাথে সাথে সাড়া বাংলাতে খেল খতম হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছাপ্পা ভোটের খেল এরা মনে করছে এটা।এটা ছাপ্পা ভোটের খেল হবে না ।মানুষ নিজের ভোট নিজে দিবে ।তিনি বলেন পঞ্চায়েতের ছাপ্পা ভোটের খেল এখানে এবার খাটবে না।