কালিয়াগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াইয়ের খেলায় গেরুয়া শিবিরই চ্যাম্পিয়নের ট্রফি পেতে চলেছে
1 min readকালিয়াগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াইয়ের খেলায় গেরুয়া শিবিরই চ্যাম্পিয়নের ট্রফি পেতে চলেছে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৪এপ্রিল:উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩৪নম্বর (তফ) বিধানসভা আসনে এবার চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে।লড়াইয়ের খেলায় যে দলগুলি অংশগ্রহণ করছে তার মধ্যে যেমন আছে শাসক তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক তপন দেবসিংহ,বিজেপির প্রার্থী সৌমেন রায়,সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রাথী প্রভাস সরকার এবং রাজবংশী গাভুর সমিতির পক্ষে নির্দল প্রার্থী সুধীর সরকার।তৃণমূলের প্রার্থী তপন দেবসিংহ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন তিনি উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ছিলেন ,২০১৯সালের নভেম্বর মাসে।কিন্তূ সামনেই করোনার কারনে তার যে কাজগুলি করবার কথা ছিল রাস্তা ঘাটের কাজ কিছু কর গেলেও মহিলাদের জন্য কলেজটি করা সম্ভব হয়নি।তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন এবার তৃতীয় বারের জন্য আবার তাদের দলেরই সরকার হচ্ছেই।এবার জয়ী হলের সবার আগে মহিলা কলেজ করবার প্রতিশ্রুতি দেন তপন দেবসিংহ।
সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেসের প্রার্থী প্রভাস সরকার বলেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূললের মা মাটি মানুষের সরকার মাযের সাথে মাটির সাথে এবং সর্বোপরি মানুষের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে যাচ্ছে এই সরকারের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে।মানুষ কাজের সরকারকে দেখতে চায়।তাই সংযুক্ত মোর্চা এবার এই নির্বাচনে একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে বলে প্রভাস সরকার জানান।এদিকে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায় বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুর খারিপাড়া গ্রামে প্রচারের এক ফাঁকে বলেন এই রাজ্যের রাজ্যে সরকার দশ বছর ধরে এই রাজ্যের বেকার যুবকদের চাকরীর কোন সংস্থান না করে মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করেছে।বিগত কয়েক বছর ধরে এই সরকারের নেত্রী শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভাওতা ছাড়া কিছুই দেননি।দিদির পা দেখেই বোঝা যায় এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কি হাল।একটা মচকে যাওয়া পা ঠিক করতে যদি এতদিন সময় লাগে তাহলে এই কি উন্নত স্বাস্থ ব্যবস্থার লক্ষন,?শ্।তাই রাজ্যের ছেলে মেয়েদের স্থায়ী চাকরি, জেলায় জেলায় শিল্প স্থাপন,দুর্নীতি,কাটমানি বন্ধ করতে রাজ্যের উন্নয়নে বিজেপির সরকার এবার আসছেই।যার ইঙ্গিত দুই দফার নির্বাচনেই মিলেছে।সৌমেন রায় বলেন তিনি জয়ী হচ্ছেনই।বিধায়ক হয়ে তার প্রথম কাজ হবে কালিয়াগঞ্জে একটি মহিলা কলেজ তৈরি করা ছাড়াও কালিয়াগঞ্জের টেরাকোটা, কার্পেট ও ঢোকরা শিল্পের উন্নয়ন করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থা নের ব্যবস্থ্যা করা।বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায় অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন নির্বাচনের খেলায় তিনিই তৃণমূলকে হারিয়ে চ্যাম্পিযানের ট্রফিটি নিয়ে শেষ হাসি হাসবেনই। এই সরকার দশ বছর ধরে সাধারণ মানুষদের দুঃখদুর্দশার দিকে না তাকিয়ে নির্বাচনের মুখে দুয়ারে দুয়ারে গেছেন।কিন্তূ কোন লাভই হবেনা।স্বভাবতই তৃণমূলকে রানার্স ট্রফি পেয়েই খুশি হতে হবে।অপর দিকে রাজবংশী গাভুর সমিতির প্রার্থী সুধীর সরকার বলেন আমরা রাজবংশী সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করেছিলাম রাজবংশী সমাজের মানুষ সব দিক দিয়ে উপকৃত হবে।কিন্তূ নির্বাচিত বিগত দিনের বিধায়কগন কালিয়াগঞ্জের গ্রাম বাংলার রাজবংশীদের জন্য কোন কাজ করেনি।তাই প্ৰকৃত রাজবংশীদের উন্নয়নে আমি রাজবংশী সমাজের পক্ষ থেকে নির্বাচনে লরার সিধান্ত নিয়েছি।তিনি বলেন তপশীলিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে অথচ তাদের কোন উন্নয়ন হবেনা এটা মেনে নেওয়া যায়না।তাই রাজবংশী সমাজ তারা তাদের পছন্দের লোককেই জয়ী করবে বলে সুধীর সরকারের বিশ্বাস।বিজেপির কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার কো-অর্ডিনেটর রানা প্রতাপ ঘোষ বলেন চৈত্র মাসের দাবদাহের কারনে ঘাস ফুল ফোটাতো দূরের কথা প্রতিনিয়ত শুকিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।অপরদিকে পদ্ম জলে থাকে এবং তার সংখ্যা রোজ রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই কালিয়াগঞ্জ এক কথায় পদ্ম ফুলের।