বিক্ষোভে ভোট বন্ধ কাঁথিতে’ভোট দিচ্ছি তৃণমূলকে, চলে যাচ্ছে বিজেপিতে,’
1 min readবিক্ষোভে ভোট বন্ধ কাঁথিতে’ভোট দিচ্ছি তৃণমূলকে, চলে যাচ্ছে বিজেপিতে,’
ইভিএম নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব তৃণমূল। ইভিএম কারচুপি করে বিজেপি জিততে চায়, এই অভিযোগ বহুদিন ধরেই করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভোটারদের কাছ থেকে এই অভিযোগ ওঠায় ভোট বন্ধ হয়ে গেল দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে ভোট কর্মীদের মধ্যে। কী অভিযোগ সেখানে করছেন ভোটাররা?শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয় নির্বিঘ্নেই। তবে ঘণ্টাখানেক পর দক্ষিণ কাঁথির বিধানসভার অন্তর্গত মাজনায় একটি বুথে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর ভোটাররা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।তাঁদের অভিযোগ, ” আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু ভিভিপ্যাটে দেখতে পাচ্ছি সেই ভোট চলে গিয়েছে বিজেপিতে।
আমাদের এখানে বহু ভোটারের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। আমরা চাই ওই ইভিএম এখনই বদলে ফেলা হোক। প্রয়োজনে ইভিএম ছাড়া ভোট হোক।” যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, লিখিতভাবে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়েনি।কিন্তু প্রশ্ন, ভোটাররা যখন ভোট দিচ্ছেন তখন অন্যরকম কিছু হচ্ছে দেখে তাঁরা কী বিষয়টি ভোট কর্মীদের জানিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা বলছেন, ” হ্যাঁ আমরা জানিয়েছিলাম। প্রতিবাদ করেছি। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়েছে”। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা চিত্কার করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ নাকি বিজেপিকে ভোট দিতে বলেছেন, এমন অভিযোগ কয়েকজন করেছেন। যদিও এই ব্যাপারে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য ইভিএমে বোতাম টিপে নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি কাগজের স্লিপ বেরিয়ে আসে। ভোটার যে দলকে ভোট দিচ্ছেন, স্লিপটিতে সেটি দেখা যাবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য। এরপর সেটি একটি নির্দিষ্ট বক্সে চলে যাবে। ওই স্লিপ ভিভিপ্যাট নামে পরিচিত। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা হয় মেশিনে প্রদত্ত ভোটের সঙ্গে। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে সেখানে, তাতে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।ভোরবেলায় ভোটগ্রহণের শুরুতে ইভিএম পরীক্ষা করা হয়। প্রত্যেকটি দলের এজেন্টের সামনে বিভিন্ন বোতাম টিপে মেশিন টেস্ট করা হয়। কোন কোন বোতাম কতবার টেপা হয়েছে, সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইভিএম পরীক্ষা করে বিষয়টির সত্যতা পরীক্ষা করা হয়। তারপরই ওই ইভিএম ভোটারদের জন্য রাখা থাকে। এই বিষয়টি “মক পোল” নামে পরিচিত। মাজনার ওই বুথেও সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাহলে তখন কেন এমন অভিযোগ সামনে আসেনি? এই প্রশ্ন উঠছে। তবে বিষয়টিতে যথাসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা।এদিকে ওই বুথে অভিযোগ পাওয়ার পর ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনও ভোটারকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্বের সঙ্গে বলেছেন, এটা অবান্তর অভিযোগ। সেখানকার তৃণমূলের এজেন্ট বলেছেন, এমন অভিযোগ সকালের দিকে এসেছিল। কিন্তু পরে সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ ওই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।