একুশের নির্বাচনের আগে দিল্লিতে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের, অপসারিত অধীর চৌধুরী
1 min readএকুশের নির্বাচনের আগে দিল্লিতে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের, অপসারিত অধীর চৌধুরী
একুশের নির্বাচনের আগে পরতে পরতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপি ঘটনাটিকে নাটক বলেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এই ঘটনার একদিনের মধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ড লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিল অধীর চৌধুরীকে।
যে ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অধীরের জায়গায় নতুন কংগ্রেস দলনেতা হয়েছেন লুধিয়ানার সাংসদ রভনীত সিং বিট্টু। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল হাইকমান্ড?একটি সূত্রে খবর যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে থেকেই জোট বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করছিলেন অধীর চৌধুরী, মূলত আব্বাস সিদ্দিকীদের বেশি আসন ছাড়তে চাইছেন না তিনি, এ বিষয়টি নিয়ে তিতিবিরক্ত প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতৃত্ব বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিষয়টি নিয়ে। এই বিষয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন মান্নান । তারপরও দেখা গিয়েছে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
এই পরিস্থিতিতেই হঠাত্ এত বড় সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অধীরকে বড় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চেয়েছেন তাঁরা।আবার এটাও জানা গিয়েছে একটি সূত্রে, এই দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি নিজেই চেয়েছেন অধীর। নির্বাচনের পর ফের তিনি দলনেতার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। যদিও এটা বিশ্বাস করতে রাজি নন রাজ্য কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। এর পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অধীর যে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতাকে, তাতে মান্যতা দিচ্ছে না হাইকমান্ড। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। সেখানে প্রদেশ সভাপতি যেভাবে মমতাকে নিশানা করেছেন, তাতে বিজেপি লাভবান হবে বলে হাইকমান্ড মনে করছে। সেই কারণেই সম্ভবত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে কি অধীর এবার কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? এই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের এক অধীর ঘনিষ্ঠ নেতা বলেন, এসব ভিত্তিহীন কথা। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি না বললেও ঘুরিয়ে অধীরের প্রতি এমন বার্তা দিয়েছিলেন। তাই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন কোনও বাঁক দেখা যায় কিনা নির্বাচনের আগে, সেদিকে চোখ থাকবে সবার।