বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারব শুনে চিন্তা মুক্ত হয়ে খুব খুশী হলাম
1 min readবাড়িতে বসে ভোট দিতে পারব শুনে চিন্তা মুক্ত হয়ে খুব খুশী হলাম
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ১১ মার্চ:আমি আমার এই শরীর নিয়ে ভোটের লাইনে গিয়ে ভোট দিতে পারব বলে চিন্তাই করিনি।কিন্তূ হটাৎ করেই জানতে পারলাম নির্বাচন কমিশন সিধান্ত নিয়েছে যাদের বয়স আশি এবং প্রতিবন্ধী সেই সব ব্যক্তিরা নিজের বাড়িতে বসেই তাদের ভোট দিতে পারবে।নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে আমি কুর্নিশ জানাই।আমাদের মত হত দরিদ্র মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা ভাবনার জন্য। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের মহেন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দা শঙ্কর মহন্ত বৃহস্পতিবার এই কথা বলেন।শঙ্কর মহন্ত একজন একশো ভাগ প্রতিবন্ধী।
স্ত্রী স্বপ্না মহন্ত শঙ্কর মোহন্তের ঘরের বাইরে বের হবার সাথী।একেবারেই দুচোখ দিয়ে দেখতে পান না শঙ্কর মহন্ত।তবে একসময় এতদঞ্চলের মধ্যে নামি খোল বাদক ছিলেন।এখন ৬২বছর বয়সের ভারে আর খোল বাজানোর মত শক্তি নেই বলে জানান।তিনি বলেন প্রতিবন্ধী ভাতা হিসাবে একহাজার টাকা ভাতা আর একমাত্র ছেলের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী হিসাবে সামান্য বেতন দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে।শঙ্কর বাবু বলেন আমার স্ত্রীর জন্যই আমি এখনো বেঁচে আছি।তিনি বলেন বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের সময় যে ভাবে কাদা ছোড়া ছুরি করে থাকে তা একদম পছন্দ করিনা।আমি চোখে দেখতে না পেলেও একজন রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ব্যক্তি।গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে নিজের ভোট নিজে দেবার আনন্দটাই আলাদা।শঙ্কর মহন্ত বলেন ভোট হোক শান্তিপূর্ণভাবে।কোন মায়ের কোল খালি করে ভোট যেন না হয় বলে তিনি বলেন।সবাই যেন নিজের পছন্দের ব্যক্তিকেই ভোটটি দিতে পারে এটাই ভগবানের কাছে আমার প্রার্থনা।