অভিনব কালী পূজা।কালী পূজার রাতে সন্ধ্যার পর মায়ের মূর্তি বানিয়ে সেই শ্যামামায়ের পূজা করে সূর্যোদয়ের পূর্বেই মাকে বিসর্জন দেওয়ার রীতি
অভিনব কালী পূজা।কালী পূজার রাতে সন্ধ্যার পর মায়ের মূর্তি বানিয়ে সেই শ্যামামায়ের পূজা করে সূর্যোদয়ের পূর্বেই মাকে বিসর্জন দেওয়ার রীতি
অভিনব কালী পূজা।কালী পূজার রাতে সন্ধ্যার পর মায়ের মূর্তি বানিয়ে সেই শ্যামামায়ের পূজা করে সূর্যোদয়ের পূর্বেই মাকে বিসর্জন দেওয়ার রীতি আজও বহাল তবিয়তে চলে আসছে এই পূজার নিয়মকে সামনে রেখে।এই শ্যামা মায়ের অভিনব নিয়ম মেনে আজও পূজা হয়ে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দেবীনগরে।শ্যামা মা এখানে সূর্যের মুখও দেখেনা।এই ভাবেই রায়গঞ্জের দেবিনগরে আনুমানিক৫০০ বছর ধরে এই পূজা হয়ে আসছে।এই কালী পূজা বর্তমানে জমিদারদের অধীনে না থেকে

এই পূজা বর্তমানে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের কর্মকর্তারা করে থাকে।কথিত আছে একসময় এই পূজার সূচনা করে ছিলেন ডাকাতরা। পরে সেই পূজা বন্ধ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে অধুনা বাংলাদেশের জমিদারের হাত ধরেই পুনরায় পূজার শুরু।এই পূজাকে কেন্দ্র করে অনেক গল্প কথা আছে শোনা যায়।জমিদার গিরিজানাথ রায়এ বাহাদুরের হাত ধরেই এই পুনরায় মায়ের পূজা শুরু হয়। দেবীর স্বপ্ন দেশে মন্দির নির্মাণ হলেও এই মন্দিরের মাথার উপর কোন ছাদ নেই।খোলা আকাশের নীচে পূজিতা হন শ্যামা মা।পূজার দিন রাতে মায়ের প্রতিমা তৈরি করা হলে মাকে প্রচুর অলংকার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়ে থাকে।এই মায়ের পূজায অন্ন ভোগ হয়না। বৈষ্ণব মতে এই পুজো হয়ে থাকে।ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌড়শংকর মিত্র জানান সাধারন মানুষের দাবী মেনেই বলি প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মায়ের এই পূজায় কোন রকম চাঁদা তোলা হয়না।মায়ের দানপাত্রে সারা বছর যে প্রনামি পরে সেটা দিয়েই পূজা করা হয়। পূজা কমিটির সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত বলেন প্রায় পাঁচশ বছর আগের মায়ের এই পূজা দর্শন করতে বহু দুর দুর থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন।এই পূজাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা এখনো এই মুহূর্তে ভীষন ভাবে দেখা হয়।
।
