মাধ্যমিকের এডমিট বিভ্রাটের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারল না কালিয়াগঞ্জ পার্বতীসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্র প্রশান্ত দেব শর্মা
1 min readমাধ্যমিকের এডমিট বিভ্রাটের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারল না কালিয়াগঞ্জ পার্বতীসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্র প্রশান্ত দেব শর্মা
মাধ্যমিকের এডমিট বিভ্রাটের জেরে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারল না উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র প্রশান্ত দেব শর্মা। তার অভিযোগ স্কুলের গাফিলতির কারণেই সে এবার মাধ্যমিকে বসতে পারল না। তার অভিযোগ যখন নাকি মাধ্যমিকের ফরম ফিলাপ করা হয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে তখন তাকে নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষের কিছুই জানায়নি। পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে স্কুলের তরফে দেওয়া একটি চিঠি নিয়ে কলকাতায় বোর্ডে গেলেও সেখানে এর কোন সুরাহা তিনি করতে পারেননি।। তার আরো অভিযোগ কলকাতায় অফিসে যদি স্কুলের তরফেক শিক্ষক যেতেন তাহলে হয়তো এবার সে মাধ্যমিকের এডমিট পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারতেন।
কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সহযোগিতাই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে করেনি। অন্যদিকে প্রশান্তের দাদা গপু দেব শর্মা বলেন, ভাই এবার পরীক্ষা দিতে পারল না দাদা হিসেবে আমার খুবই খারাপ লাগছে। যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে যে রকম ব্যবহার করেছেন এরকম ব্যবহার যাতে আর কোনো ছাত্রের সাথে তারা না করে। এদিকে প্রশান্তের বাবা জয় লাল দেব শর্মা বলেন এই দুঃখ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি একটু এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিত তাহলে আমার ছেলে আজ অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মতো পরীক্ষা দিতে পারতো। আমরা কলকাতা বোর্ড ওব্দি গিয়েছি। কিন্তু তারা বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ যদি আসতো তাহলে এডমিট কার্ড পেয়ে যেতো প্রশান্ত। কিন্তু স্কুলের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি কলকাতায় এমনকি আমাদের ফোনও প্রধান শিক্ষক মহাশয় সেই সময় ধরেননি।। এটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি একজন সামান্য কৃষিজিবি।
কোনমতে কৃষি কাজ করে সংসার নির্বাহ করি। এর মধ্যে ছেলের পড়াশোনার টাকা জোগাড় করতে আমার হিমশিম খেতে হয়েছিল তবুও ছেলের জন্য আমি পয়সা জোগাড় করে পরিয়েছিলাম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারল না এবার।যদিও প্রশান্ত এবং তার পরিবারের অভিযোগ কে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নন্দন সাহা বলেন যথাসময়ে মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করার জন্য সকলকে বলা হলেও প্রশান্ত সেই সময় ফরম ফিলাপই করেনি। তবুও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে আর কিছু করে ওঠা সম্ভব হয়নি। আগামীতে কামনা করব প্রশান্ত যাতে আগামীবার ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকবো।