March 29, 2024

আশির দশকের মাদুর থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বাঙালি

1 min read

আশির দশকের মাদুর থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বাঙালি

এসি ও এয়ারকুলারের দাপটে ব্যাপক কানঠাসা গ্রাম বাংলার মাদুর। গরম থেকে বাঁচতে এক সময় সাধারণ বাঙালির ভরসা ছিল সে। কিন্তু এখন এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও তার দিকে প্রায় কেউ ফিরে তাকায় না। ফলে মাদুরের কারিগর ও বিক্রেতারা ক্রেতার অভাবে এখন ধুঁকছেন।আটের দশকেও গ্রীষ্মের দুপুরে দেখা যেত, আম বাঙালি মেঝের উপর মাদুর পেতে হাতপাখা ঘুরিয়ে হাওয়া খেতে খেতে তপ্ত দুপুর পার করে দিতেন। শহর-গ্রাম সর্বত্র এই ছবি ছিল। তখন লোডশেডিংও হত বেশি।

কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলেও মাদুরের কল্যাণে কষ্ট অনেকটাই কমে যেত। শুধু বাংলা নয়, গ্রীষ্ম প্রধান যে কোনও অঞ্চলের পরিচিত ছবি এটা। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শেষ কয়েক দশকে ছবিটা আমূল বদলে গিয়েছে ।মাদুরের জায়গায় প্রথমে বাজারে এল রঙিন শতরঞ্চি, চাদর। তার উপর শুলে আরাম বিশেষ একটা না হলেও ফ্যাশনটা ভালো হয়। এই চটকই প্রথমে মানুষের মনকে শীতলপাটি থেকে কিছুটা সরিয়ে নেয়। এক সময় মাদুরের দাম ছিল বেশ চড়া, কারণ সেই সময় তার চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু টেবিল ফ্যান, তারপর এসি ও এয়ারকুলারের হাত ধরে মাদুরের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই ফুরিয়েছে। ফলে চাহিদাও বলতে গেলে একেবারেই নেই। আর তার ধাক্কায় দামও এসে গিয়েছে তলানিতে। বর্তমানে মাত্র ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাদুর ।ধনকল হাটের মাদুর ব্যবসায়ী পঙ্কজ দাস বলেন, একটা সময় এই মাদুরের রমরমা ব্যবসা ছিল। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসত মাদুর তৈরি হয়ে । তখন এর দাম ছিল তখন আকাশছোঁয়া। কিন্তু এখন এর একদমই বিক্রি নেই। শহরাঞ্চলের কেউ কেনে না। প্রচন্ড গরম পড়লে গ্রামের দু-একজন ক্রেতা এসে একটা-দুটো মাদুর কিনে নিয়ে যায়। চাহিদার অভাবে দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে বিক্রেতারা জানান।

6 thoughts on “আশির দশকের মাদুর থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বাঙালি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *