নিজস্ব প্রতিনিধি (বর্তমানের কথা) : নান্দনিক আর সৃজনশীল হলে সাধারণ দর্শকদের চোখ আটকে যায় ছবির ফ্রেমে;তা যেন প্রমান করলো শহর ইসলামপুরের দুটি অঙ্কন সংস্থা।সত্যি!কিছু জল রং,প্যাস্টেল কালার বা অয়েল পেইন্টিং এ চোখ যে স্তব্ধ হতেই হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।শুধু যে চিত্র শিল্প তাও নয়,বরং সূচী কিংবা কারুশিল্প,এক্রিলিক সহ শতাধিক হস্তশিল্পের সম্ভারে ইসলামপুরের শিল্প ভাবনাকে যেন অনেকটা এগিয়ে দিল শহরের বন্দনা কলা নিকেতন ও প্রতিমা ফাইন আর্ট স্কুল। দুই দিনব্যাপী প্রতিমা ফাইন আর্ট স্কুলের ওই দুটি চিত্র প্রদর্শনীরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক কানাইলাল আগরওয়াল।দুটি সংস্থারই খুদে শিশু ও কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে তরুণ তুর্কিরা যেভাবে ইসলামপুরের চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজে নিয়োজিত হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন কানাইলাল আগরওয়াল।বন্দনা কলা নিকেতনের অধ্যক্ষ পুলক নন্দী জানান,তার প্রদর্শনী তে তিনশ তিরিশ টি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।অংশ নিয়েছে শতাধিক পড়ুয়া।এই প্রদর্শনী তৃতীয় বর্ষে পা রাখলো।প্রদর্শনীতে পঞ্চাশটিরও বেশি হস্ত শিল্প প্রদর্শিত হয়েছে।সংস্থা আয়োজিত তেইশে জানুয়ারির সকালে অঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক পড়ুয়া অংশ নেওয়ায় এই কর্মসূচিকে যেন বাড়তি মাত্রা এনে দিয়েছে।সফল প্রতিযোগীদের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে পুরুস্কৃত করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীময়ানন্দজী মহারাজ,সংস্থার সভাপতি বন্দনা নন্দী সহ অন্যান্যরা।অন্যদিকে স্থানীয় বাস টার্মিনাসে অপর সংস্থার মতো প্রতিমা ফাইন আর্ট স্কুল আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীও যথেস্ট সাড়া ফেলেছে সন্দেহ নেই।সংস্থার অধ্যক্ষ জুঁই দাস জানান,তার সংস্থার ছাত্র ছাত্রীদের আঁকা দুইশ দশটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে সেখানে।হস্ত শিল্পও রয়েছে ষাটটি।মোট ষাট জন অংশ নেয় তার সংস্থা আয়োজিত অঙ্কন প্রতিযোগিতায়।সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেবার কথা জানান তিনি।শুধু নতুন আঙ্গিকে নয় নতুন ভাবনারও যেন প্রতিফলন ঘটেছে এই দুটি প্রদর্শনীতেই।শহর ইসলামপুরের সংস্কৃতিতে যেন নতুন ভাবনার সংযোজন করলো ওই দুটি সংস্থা।