November 7, 2024

ফাঁসিদেওয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম মাধবভিটা গ্রামের মহিলাভের নুনিয়া এখন অনলাইনে

1 min read
  (বর্তমানের কথা) ঃসঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মহিলারাই উৎপাদন করছেন সুগন্ধি নুনিয়া। যত্নের সেই চাষ সুনাম ছড়াচ্ছে দূরদূরান্তে। শুধু তাই নয়, ওই নুনিয়া এখন মিলছে অনলাইনেও।ফাঁসিদেওয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম মাধবভিটা। সেখানকার মহিলারা নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোটা জেলাকে। যে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ জানেনই না ইন্টারনেট বা অনলাইন আসলে খায় না মাথায় দেয়। সেই গ্রামের মহিলাদের শ্রম অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকেই কেনাবেচা শুরু হওয়ায় গোটা জেলায় উৎসাহ তৈরি হয়েছে। যে মহিলাদের পাশের পাড়ার লোক চেনেন না, তাঁদের পরিব্যাপ্তি এখন সীমানাহীন। এঁরা বড় কোনও খামার মালিক নন, বড় চাষিও নন। ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর ছাড়িয়ে আরও ভেতরের গ্রাম মাধবভিটা। গ্রামের মহিলারা সংসারে হাল ধরতে দিনমজুরি করেন। কেউ রাজমিস্ত্রি আবার কেউ মাঠের কাজও করেন। অনেক চা–‌শ্রমিকও রয়েছে

ন এখানে। সেই গ্রামের রেখা, সীতামণি, আশ্রিতারা ওই অস্বাভাবিক ভাবনা থেকে এখন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছেন। শুরুটা দল বেঁধেই করেছিলেন। স্বনির্ভর হওয়ার দল। মাধবভিটা গ্রামের পুরুষরা বাইরে কাজে যান। অনেকের জমি রয়েছে। সেখানে চাষাবাদ করেন। টানটান সংসারে বাড়ির মহিলারা পথ খোঁজার তাগিদে নাম লেখান স্বনির্ভর দলে। সীতামণি তিরকি, আশ্রিতা খালকে, ফতিমা টিগ্গা–‌ সহ ১৩ জন মিলে গড়ে তোলেন জাগৃতি মহিলা স্বনির্ভর দল। এখন ওই গ্রামে এক ডাকে জাগৃতিকে চেনে। মাশরুম চাষ করে একসময়ের সুনাম এখনও রয়েছে। এবার পা বাড়িয়েছেন নুনিয়া চাষে। । শ্রী পদ্ধতিতে চাষ করে এই প্রথম তাঁরা দাস নুনিয়া ঘরে তুলেছেন। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। আর ধান থেকে চাল বের করতেই তার গন্ধ ছড়িয়েছে কলকাতা পর্যন্ত। সেখান থেকে সোসিও নামে সংস্থার পক্ষ থেকে চাল নিয়ে গেছে। কয়েক কুইন্টাল চাল অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। গ্রাম থেকে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হয়। অনলাইনে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।জাগৃতি মহিলা স্বনির্ভর দলের নেত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করেছেন। কয়েকটি সংস্থা আমাদের থেকে চাল কিনে নিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে চাইছে। তাই আমরা আরও বেশি জমিতে চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে নিজেরাই অনলাইনে ব্যবসা করা যায় কিনা ভাবব। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *