December 12, 2024

সমুদ্রের লুকোচুরি

1 min read

দেবাঞ্জলী চক্রবর্তী, কলকাতা,বর্তমানের কথা:  বঙ্গোপসাগরের তীরে  ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য। বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের সৈকত এক রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে আর এক রাজ্যে চলে গেছে আর তার মধ্যেই অন্যতম “চাঁদিপুর”। ওড়িশার চাঁদিপুর। ভাটার  সময়ে চাঁদিপুরের সৈকত থেকে সমুদ্রের জল ৫ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত চলে যায়। আবার জোয়ার এলে সমুদ্রতট পুরো জলে ভরে যায়। ভোরবেলা যদি সমুদ্র সৈকতে যান তো আপনার মনে হতেই পারে কোথায় সমুদ্র, যতদূর চোখ যাবে দিগন্তরেখা পর্যন্ত বালি আর  বালি।নরম বালি নয় চাঁদিপুরের সমুদ্র উপকূলের বালি ভেজা ও শক্ত। পায়ে হেঁটে সমুদ্রকে আহ্বান করে আনছেন এমন অনুভূতি হতেই পারে ।প্রতিদিনই  চলতে থাকে কিশোরীর মতন সমুদ্রের  এই লুকোচুরি খেলা। আর এর টানেই বহু মানুষ এই সৈকতে আসেন।ইচ্ছে হলেই কিনতে পারেন সমুদ্রের রূপালি শস্য আর হোটেলের হেঁসেলের অথবা কোন চায়ের দোকানে দিলেই ভেজে দেয় ।

পঞ্চলিঙ্গেশ্বর:  চাঁদিপুরের সমুদ্র দেখে এবার চলুন পাহাড়ে। চাঁদিপুর থেকে আবার বালেশ্বর ছুঁয়ে চলুন ৪৬ কিমি দূরের পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে। বালেশ্বর থেকে পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের দূরত্ব ৩০ কিমি। সবুজে ঘেরা অরণ্যে  জাগ্রত  পঞ্চলিঙ্গেশ্বর। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের দল  আসেন  মনস্কামনা পূরণ করতে, কথিত আছে প্রবাহিত ঝর্নার জলের তলায় হাত ঢুকিয়ে পঞ্চলিঙ্গ স্পর্শ করে প্রণাম করতে হয় ।

 লোকাল কোন গাইডকে নিয়ে ঘুরে আসতে  পারেন ” সিমলিপাল ” ফরেস্ট ” ও।
যাবেন কিভাবে: কলকাতার হাওড়া থেকে “ধৌলি এক্সপ্রেস ” , “পুরী এক্সপ্রেস “, “ইস্ট কোস্ট ” ” শতাব্দী ” যেকোন ট্রেনে গিয়ে চার ঘন্টা অতিক্রম করে নামতে হবে “বালাসোর” স্টেশনে। সেখান থেকে অটো ধরে 16 কিলোমিটার গেলেই “চাঁদিপুর”। সমুদ্রের নিকটেই আছে বহু হোটেল।। অল্প দিনের ছুটিতে হাতের নাগালে গরম গরম মাছ ভাজা ও খেজুরে রসের সাথে সমুদ্রের লুকোচুরি উপভোগ করার আদর্শ জায়গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *