উত্তরবঙ্গের একমাত্র তিস্তা সেচ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে,গুরুত্ব দিচ্ছেনা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার
1 min readতপন চক্রবর্তী ঃ– উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার কৃষকদের চাষবাসের উন্নয়নে তথা উত্তরবঙ্গ কে শস্য শ্যামলা করতে আনুমানিক চল্লিশ বছররের ও আগে তদানীন্তন কংগ্রেস শাসিত সরকার এর আমলে তিস্তা সেচ প্রকল্প নামে একটি সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছিল।উত্তরবঙ্গের চাষীরা ভেবে ছিল এবার আর তাদের আকাশের জলের উপর ভরসা করে আর হয়তোবা চাষ আবাদ করতে হবেনা।চাষীদের স্বপ্ন ছিল তিস্তা সেচ প্রকল্পের জল থেকে চাষের জল নিয়ে তাদের জমিকে তিনফসলি জমি করে লাভের মুখ দেখবে।স্বপ্ন ছিল তাদের জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে মানুষ করে তুলতে পারবে।কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন সেচ প্রকল্পকে রাজ্য সরকার প্রাধান্য দিলেও পিছিয়ে থাকা উত্তরবঙ্গের একটি মাত্র তিস্তা সেচ প্রকল্পকে চল্লিশটা বছর ধরে আজ পর্যন্ত সম্পূন করতে না পারায় উত্তরবঙ্গের কৃষকরা আর অপেক্ষা না করে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথকেই বেছে নিতে চলেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর থেকে জানা যায়।উত্তরদিনাজপুর জেলার ইসলামপুর গোয়ালপোখ র ও চোপড়া ব্লকের বেশ কিছু কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানান আসলে রাজ্য সরকার তিস্তা প্রকল্পের কাজের নামে চাষীদের মেরে এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের বাঁচিয়ে রেখেছে।তিস্তা প্রকল্পের কাজ যে ভাবে হয়ে আপাতত বন্ধ হয়ে আছে তাতে এই প্রকল্পের কাজ কোনোদিন শেষ হবে বলে মনে হয়না।কারন হিসাবে জানান এই প্রকল্পে এমন কিছু ঠিকাদার কাজ করে যারা তিস্তা ক্যানেলের একদিক যেমন তৈরি করছে কিছুদিনের মধ্যে ই তাভেঙে যাবার ফলে আবার সেই কাজের সংস্কারের কাজ করছে।তিস্তা প্রকল্পের কাজ যে নিম্ন মানের হচ্ছে তা তিস্তা প্রকল্পের অধিকাংশ আধিকারিকরা সমস্ত ঘটনা জানেই না শুধু তারা নিয়মিতভাবে নিম্ন মানের কাজের জন্য মাসোহারা পেয়েথাকে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করে।জানা যায় উত্তরবঙ্গের বর্তমানের 7টি জেলার 9লাখ 22হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে সেচের জল দেবার জন্য যে তিস্তা সেচ প্রকল্প তৈরি করবার ভাবনা চিন্তা ছিল আজ সেই চিন্তা না আছে তিস্তার কর্মকর্তাদের না আছে রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের।