October 4, 2024

পাহাড়ী নদীর কোলে

1 min read

 দেবাঞ্জলী চক্রবর্তী, কলকাতা,বর্তমানের কথা:   মাঘের শীতের রেশ কেটে গিয়ে আকাশে বাতাসে বসন্তের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই ।বাঙালির মন গুনগুন করে গাইতে শুরু করেছে” বসন্ত এসে গেছে/ বসন্ত এসে গেছে”। বসন্ত উৎসবে প্রথমেই শান্তিনিকেতনের কথা মনে পড়লেও অনেকেই এখন একটু অফবিট কোথাও যাওয়ার কথা ভাবে। তারপর বাক্সপ্যাটরা বেঁধে বাঙালি বেরিয়ে পড়বে পছন্দের ঠিকানায়৷ এমনই পথিকদের প্রত্যাশায় থাকে সুন্দরী “লুলুং”৷ ওড়িশার এই রাঙামাটি সাক্ষী প্রকৃতির অনন্য সব জানা-অজানা কাহিনির৷
লাল পাথুরে মাটিতে ঘন  জঙ্গল এখানে নেই বটে৷ তবে শাল-পিয়ালের দল যেন গগনচুম্বী , বয়ে গিয়েছে মাঝেই দিয়ে পলপলা নদী৷ জ্যোৎস্না রাতে নদীর শীতল জলের ছোঁয়া উপভোগ করতে ভিড় জমায় বুনোহাতির দল৷বর্ষার সময় না হলেও লুলুংয়ের আশেপাশে প্রচুর ময়ূর দেখতে পাওয়া যায়  আর ভাগ্যদেবতা সুপ্রসন্ন থাকলে বাঘ, কুমীরের দেখাও পেতে পারেন৷ এখান থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দুধ-সাদা “বরহেনি” ও “জোরান্ডা” জলপ্রপাত , য আপনার মনকে স্নিগ্ধ করে দেবে আর আরও ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দেবকুণ্ড ও বাংরিপোসি জলপ্রপাত৷ মন চাইলে  বারিপদায় জগন্নাথ মন্দির ও অম্বিকার মন্দির দর্শন করে আসতেপারেন৷
 যাতায়াত :–কলকাতা থেকে লুলুং এর দূরত্ব ২৬০ কিমি৷ ট্রেনে করে চলে যেতে পারেন বালাসোর কিংবা বারিপদা৷ সেখান থেকে বাস, ট্যাক্সি বা গাড়ি  ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন লুলুং৷

কোথায় থাকবেন –
লুলুংয়ে থাকার আদর্শ জায়গা বনবিভাগের সুন্দর কটেজগুলি৷ যার প্রত্যেকটি বারান্দা থেকে দেখতে পাওয়া  যায় ছোট ছোট পাহাড় গুলির অপরূপ শোভা , যেন আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *