ছুটি কাটাতে চলে আসুন বাংলার রাজধানী গৌডে
1 min readপিয়া গুপ্তা ,মালদা ছুটি তো ছুতো মাত্র মূল উদ্দেশ্য ঘুরতে যাওয়া। যাঁরা ছুটি ফুরিয়েছে বলে আফশোস করছেন, পকেটে হয়তো বেশি পয়সা ও নেই ভাবছেন কম খরচে কোথাও ঘুরে আসবেন তবে দেরি না করে চলে আসুনবাংলার এককালীন রাজধানী গৌরে। ঐতিহাসিক জায়গা হিসেবে যে বিখ্যাত, সেটা নতুন করে বলে দিতে হবে না। অবিভক্ত বাংলায় গৌড়় ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত।
শশাঙ্কের রাজধানী হিসেবে গৌড়ের যে গল্প আমরা ইতিহাস বইয়ে পড়েছি, তার অস্তিত্ব এখন নেই। কিন্তু মুসলমান শাসকরা গৌড় অধিকার করার পরেও বাংলার রাজধানী গৌড়েই থেকে গিয়েছিল। তার নিদর্শন বহু। গৌড় মালদা টাউন রেল স্টেশন থেকে ১৬ কিলোমিটারের রাস্তা। পঞ্চদশ শতাব্দীর স্থাপত্যগুলো এখনও সেখানে মাথা উঁচু করে রয়েছে। দেখতে পাবেন সুলতান সফিউদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে বানানো ফিরোজ মিনার। যাকে মালদার কুতুব মিনার নাম দিয়েছে লোকে! তুঘলকী আর্কিটেকচারে তৈরি করা এই মিনারের আরেক নাম চিরাগদানি। ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে বানানো আদিনা মসজিদ আরেক নামকরা ট্যুরিস্ট স্পট। একেবারে বাংলাদেশ সীমান্তের গা-ঘেঁষে। প্রতিটা স্থাপত্যে হিন্দু ও আরবি প্রভাব আশ্চর্যভাবে মিলে গিয়েছে। গৌড়ে রয়েছে দাখিল দরওয়াজা বা বড়সোনা মসজিদও। সময় নিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে সব। যদি এত ঘুরে হাঁপিয়ে না যান, আর দ্বিতীয় দিন হাতে সময় থাকে, তা হলে চলে আসুন পান্ডুয়া। এখানে পাবে কুতুবশাহি মসজিদ আর একলাখি সৌধ।