December 12, 2024

জামাইয়ের পাতে ইলিশ মাছ না হলে যেন জামাইষষ্ঠীর আনন্দই থাকে না

1 min read

জামাইয়ের পাতে ইলিশ মাছ না হলে যেন জামাইষষ্ঠীর আনন্দই থাকে না

কাল, রবিবার জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের পাতে ইলিশ মাছ না হলে যেন জামাইষষ্ঠীর আনন্দই থাকে না। তাই প্রচুর ইলিশ আমদানি করেছেন ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ির মাছ বিক্রেতারা। করোনার কারণে গত দু’বছর জামাইষষ্ঠীর বাজার ছিল না, এবার বাজার জমবে আঁচ করেই হিমঘরে মাছ মজুত করেছেন আড়তদাররা। মাছ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘা, ওড়িশা থেকে মাছ বাজারে এসেছে। খুচরো মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় সাইজের ইলিশের তেমন অর্ডার না আসায় ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বেশি নিয়ে আসা হচ্ছে। ময়নাগুড়ির এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, স্টোরের ইলিশ মাছের তুলনায় কাঁচা ইলিশের কদর বেশি। কাঁচা ইলিশ ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের আনা হয়েছে।
শুক্রবার ৯০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ ময়নাগুড়ির খুচরো মাছ বাজারে বিক্রি হয়েছে। রবিবার এই দাম কিছুটা হেরফের হবে, দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে অনেকদিন ধরে হিমঘরে থাকা ইলিশের দাম কিছুটা কম। ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানিক দাস বলেন, এক কেজির নীচে ইলিশ বেশি সংখ্যায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতবছর কোভিডের জন্য বাজার মন্দা ছিল। জামাইষষ্ঠীর আগেপিছে ৫-৬ কুইন্টাল ইলিশ বিক্রয় হয়েছিল। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ১০-১১ কুইন্টাল ইলিশ নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার ইলিশের লরি ঢুকবে। এক কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১০০০-১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে জামাইষষ্ঠীর দিন সামান্য দাম বাড়তে পারে। ময়নাগুড়ির মাছ ব্যবসায়ী বাপ্পা দাস বলেন, গত দু’বছর জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ সেভাবে বিক্রয় করতে পারিনি। এ বছর মনে হচ্ছে বাজার ভালো হবে। আমরা খুচরো মাছ বিক্রি করি। ওড়িশা থেকে বাজারে মাছ আসার পর আমরা তা কিনেছি। ময়নাগুড়ির পাইকারি মাছ বিক্রেতা সুনীল শাহ বলেন, এবার ইলিশের চাহিদা আছে। জামাইষষ্ঠীর আগে থেকেই বাজার জমে উঠেছে। যেহেতু মাসের শুরুতে এবার জামাইষষ্ঠী পড়েছে তাই বাজার ভালোই হবে। ১০ কুইন্টাল মাছের অর্ডার দিয়ে রেখেছি। ময়নাগুড়ি ছাড়াও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে আমার এখান থেকে মাছ যায়। আশা করা যাচ্ছে, এবার জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ মাছ খাইয়ে জামাইদের রসনা তৃপ্ত করতে পারবেন শাশুড়িরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *