কালিয়াগঞ্জে দিদির গোপন তথ্য ফাঁস করেছিল বিদায়ী পৌর প্রশাসকের ছেলে তেমনি মহা মিথ্যার আশ্রয়ে খাম বন্দী উপ পৌরপতির নাম ঘোষণা।
1 min readকালিয়াগঞ্জে দিদির গোপন তথ্য ফাঁস করেছিল বিদায়ী পৌর প্রশাসকের ছেলে তেমনি মহা মিথ্যার আশ্রয়ে খাম বন্দী উপ পৌরপতির নাম ঘোষণা।
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ। এই রাজ্যে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস রুখতে নানান ধরনের অফিসিয়াল কৌশল সহ কড়া ব্যাবস্থা নিয়েছে তখন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় বর্তমান পৌর বোর্ডের উপপৌরপতি কে হবে সেই বিষয়ে নাটক উপস্থাপনের ভূমিকায় উত্তর দিনাজপুর সহ কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। পৌর বোর্ডের উপপৌরপতি নাম উত্তর পত্র হিসেবে খাম বন্দী অবস্থায় দিদি অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠালেও কিন্তু সেই বন্ধ খামের ভিতর উত্তর পত্রে উপপৌরপতির নাম ডিজিটাল কায়দায় ফাঁস করে নয়া কাণ্ডে কিছুদিন আগেই জড়িয়ে গিয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিদায়ী পৌর বোর্ডের পৌর প্রশাসক শচীন সিংহ রায়ের সুপুত্র রাহুল সিংহ রায়। কিভাবে বন্ধ খামের অন্দরে থাকা দিদির স্বাক্ষরিত উপপৌরপতির নাম সুপুত্রের নিজস্ব মোবাইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক তদন্তের ভার কে নেবেন? দলের সুপ্রিমো চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরিত গোপন নামটি বিষয়ের নিরাপত্তা কোথায় ,কেউ বলবেন?
অথচ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এবং কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সেই বিদায়ী পৌর প্রশাসক সহ তাঁর সুপুত্রের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা গ্রহন করলেন ,কেউ কি বলতে পারবেন? কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন পৌর বোর্ডের উপপৌরপতি কে হবেন এর উত্তর দিদির ভাইয়েরা কয়েকদিন আগে ডিজিটাল কায়দায় পেয়ে গেলেও শনিবার পৌর সভার কক্ষে কিন্তু পৌরপতি রামনিবাস সাহা নয় জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীদের সামনে এবং সাংবাদিক দের ক্যামেরার সামনে সামনে ঘোষনা করলেন তিনি ” আমি যে খামটি খুলছি এখন সেটা কিন্তু কেউ জানে না। খামের ভেতর কার নাম আছে সেটা আমাদের কাছে অজানা।
তবে যার নামই আসুক না কেন তাকে সকলকে মানতে হবে ” – এই বলে। বিষয়টি অনেকটা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো। কিন্তু নবনিযুক্ত পৌরপতি রামনিবাস সাহা মহাশয় ক্যামেরার সামনে তাঁর উক্ত কোটেশনে যা বললেন সেখানেও এক মহাজাগতিক মিথ্যা কথায় পরিপূর্ণ ছিল। কারণ বন্ধ খামের মধ্যে যে নামটি দলীয় সুপ্রিমো দিদির স্বাক্ষরিত যে নামটি ছিল সেটা যদি সকলের কাছেই অজানা হয়েই থাকে এমনকি স্বয়ং পৌরপতির কাছেও তাহলে উপপৌরপতি হিসেবে ঈশ্বর রজকের নামে শপথ বাক্য পাঠ করার কাগজটি কিভাবে ঈশ্বর রজকের নামে লেখা হয়ে থাকে, এই উত্তর কেউ বলতে পারবেন? বন্ধ খামের মধ্যে সকলের অজানা নাম আর শপথ বাক্য পাঠ করার লেখাটিতে আগে থেকেই ঈশ্বর রজকের নামে লেখা হয়ে গেল তাহলে বিদায়ী পৌর প্রশাসকের সুপুত্রের ডিজিটাল কায়দায় হাইজ্যাক করা উপপৌরপতি হিসেবে ঈশ্বর রজকের নামটি আগে থেকেই প্রকাশ করে দেওয়াটা বাস্তব সত্যি। এর উত্তর কেউ দেবেন? হ্যাঁ, সত্যি সত্যি বর্তমানের কথা গত কয়েকদিন আগে যে নাম ফাঁস করেছিল আজ দেখা গেল সেই নামই কমপিউটার এর টাইপ করা অক্ষরে ভেসে উঠল বন্ধ খাম খোলা মাত্রই। বর্তমানের কথা প্রথম জানিয়েছিল যে উপপৌরপতি হতে চলছে ঈশ্বর রজক, বিদায়ী পৌর প্রশাসকের সুপুত্রের মোবাইল থেকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া সুত্র ধরেই ।আর সেটাই মিলে গেল।
এবার সর্ব প্রশ্ন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে যে বর্তমানের কথা প্রথম যখন খবরে প্রকাশ করেছিল প্রাক্তন বিদায়ী পৌর প্রশাসক যিনি ছিলেন সেই শচীন সিংহ রায়ের ছেলের মোবাইল থেকে দিদির দেওয়া সেই গোপন খামের উত্তর ফাঁস হয়ে গেল কি ভাবে।এই বন্ধ খামের উত্তর তো শুধু মাত্র তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কেউ জানবে না যতক্ষন না সেই খাম খোলা হবে। এবার প্রশ্ন সেই খাম কি তাহলে বেশ কিছুদিন আগেই কালিয়াগঞ্জে এসে গিয়েছিল? তা না হলে শচীন বাবুর পুত্র রাহুল সিংহ রায় জানল কি করে? আবার অনেকেই এই সকল কান্ডকারখানা শুনে ও দেখে প্রশ্ন তুলেছেন বন্ধ খামের ভিতরে উপপৌরপতি হিসেবে ঈশ্বর রজকের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে স্বাক্ষর করেছেন সেটি আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব স্বাক্ষর কিনা? এক মহাজাগতিক মিথ্যা আশ্রয়ে উপপৌরপতি হিসেবে ঈশ্বর রজকের নতুন ইনিংস শুরু করা এক নাটকের প্রচ্ছদ কাহিনী.
উপপৌরপতি নাম ঘোষণা ও শপথের অনুষ্ঠানে আরেকটি জিনিস যেটা ফুটে উঠল তাহলো বিদায়ী পৌর প্রশাসকের উপস্থিতি। অথচ গতকাল যখন নতুন পৌরপতি হিসাবে রমনিবাস সাহা সহ সকল কাউন্সিলর গণ শপথ নিলেন তখন কিন্তু প্রাক্তন পৌর প্রশাসক শচীন সিংহ রায় কে পৌরসভা প্রাঙ্গনের ধারেকাছে দেখা যায় নি।এই নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এবং জনগনের মধ্যে প্রশ্ন এখন থেকে কি তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের একটা গন্ধ বের হচ্ছে না ?এদিকে তৃণমূলের অনেক কর্মীদের প্রশ্ন দিদির দেওয়া খামের গোপনীয়তা যে নেতার ছেলে ফাঁস করে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিষয়ে এবং বন্ধ খামের মধ্যে উপপৌরপতি হিসেবে কার নাম থাকবে কিন্তু শপথ বাক্য পাঠ করার কাগজে আগে থেকেই ঈশ্বর রজকের নামে লেখা হয়ে গেল – এই কাকতলীয় উভয় সিক্রেসি ওপেনিং হলো কিভাবে সেই বিষয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কি কোনো ব্যাবস্থা হবে, কেউ বলবেন? নাকি প্রাক্তন পৌর প্রশাসক নেতা বলে, নেতার সুপুত্র বলে এবং অন্য নেতৃত্বরা বলে পার পেয়ে যাবেন। অনেক কর্মীদের প্রশ্ন সাধারন কোন কর্মী যদি এমন ধরনের দল বিরোধী কাজ করত তাহলে কি দল তাকে তার সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ক্ষমা করে দিত? এখন এই নিয়ে কালিয়াগঞ্জ এ তৃণমূল এর অন্দরে ক্ষোভ জমেছে সকল নেতৃবৃন্দের উপরে। অনেক কর্মীরাই বলছে দলের গোপনীয়তা যেসকল ব্যাক্তি ও নেতৃত্বরা ভেঙ্গে দিয়ে যখন দল বিরোধী কাজ করছে তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে না কেন? তবে যাই হোক না কেন শপথ গ্রহণের প্রথমদিনে রমনিবাস সাহার পাশে প্রাক্তন প্রশাসক শচীন সিংহ রায় না থাকলেও শনিবার কিন্তু সেজে গুজে এসেছিলেন শচীন বাবু তার বন্ধু ঈশ্বর বাবুর শপথ গ্রহণে।তাই এর পিছনে আবার অন্য রকম গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত বইছে না তো।তাই তৃণমূলের অনেক কর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলছেন ,এখন থেকেই পৌরপতি রামনিবাস সাহার একটু দেখে শুনে পা ফেলা উচিত কারণ উপপৌরপতি নাম টি ঈশ্বর রজক অর্থাৎ মহাজাগতিক বলয়ে ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বলে।