ভারতের বেসরকারি সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের একহাজার টাকা পেনশন দিয়ে মোদীর সব কা সাথ সব কা বিকাশ ভাওতা ছাড়া আর কিছুই নয়, ব্যাপক আন্দোলনে নামছে জাতীয় এজিটেশন কমিটি-
1 min readভারতের বেসরকারি সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের একহাজার টাকা পেনশন দিয়ে মোদীর সব কা সাথ সব কা বিকাশ ভাওতা ছাড়া আর কিছুই নয়, ব্যাপক আন্দোলনে নামছে জাতীয় এজিটেশন কমিটি-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২১মার্চ:ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েক লক্ষ্য অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের মাত্র১০০০ টাকা পেনশন দিয়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাওতা আওয়াজ তোলায় মথুরার বিজেপির সাংসদ তথা দেশের বিখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী ক্ষুব্দ। বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মাসিক পেনশন বৃদ্ধি করবার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী বেশ কয়েকবার দরবার করলে প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোন সূরাহা হয়নি।এরপরেও মাননীয়া সাংসদ হেমা মালিনী প্রধান মন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে বলেন ভারতের সংবিধানে ২১ নম্বর ধারায় বলা আছে ভারতের যেকোনো নাগরিকের সসম্মানে বেঁচে থাকার অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে সংবিধান। অথচ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানকে মান্যতা দিচ্ছে না।
যে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন সময় ব্যয় করেছেন তাদের অবসরের পর ১০০০ টাকা পেনশন ?এর চেয়ে হাস্যকর ব্যাপার আর কি থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।তিনি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আবার মনে করিয়ে দেন। অবিলম্বে বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মিনিমাম ৭৫০০ টাকার সাথে ডি এ দেবার ব্যবস্থা করা হোক।ন্যাশনাল এজিটেশন কমিটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি তপন দত্ত বলেন ভারতের বেসরকারি সংস্থার ২৩ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা মাসে এক হাজারের নিচেই পি এফ্ পেনশন পান।বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা চাকুরী কালে প্রতিমাসে তাদের বেতন থেকে পি এফ্ জমা দিলেও তাদের এই হাল করে রাখায় অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অনাহারে মৃত্যু বরণ করেছেন। তপন বাবু বলেন পেনশন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনেক বার বিভিন্ন ধরনের কমিটি গঠন করেছেন।কমিটি তাদের সুপারিশ করা সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ আজও করেনি।তিনি বলেন কমিটি গড়েই কেন্দ্রীয় সরকার এটাকে ধামা চাপা দিতে চলেছে বার বার।তাই সারা ভারত বর্ষে ন্যাশনাল এজিটেশন কমিটির সম্পাদক অশোক রাউত এর নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনকে আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যাপক আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।আন্দোলন ছাড়া বিজেপি সরকার আমাদের ন্যায্য পেনশন দেবে না বলেই আমাদের মনে হয়েছে।বেসরকারী সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানান আসলে বিজেপির স্বভাব তেলে মাথায় তেল দেবার স্বভাব।আমাদের চাকরী জীবনের ই পি এফের সঞ্চিত অর্থ থেকে পেনশন দিতে সরকারের কোন অর্থ লাগবেনা। বিজেপি সরকার বিমাত্রিসুলভ আচরন করে যাচ্ছে।কেন আমাদের মিনিমাম ৭৫০০ টাকার সাথে ডি এ দেওয়া হবেনা?কেন্দ্রের মোদী সরকার যদি সময় থাকতে বেসরকারি অবসর কর্মীদের জন্য সম্মানজনক পেনশন ব্যবস্থা চালু না করে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারকে পস্তাতে হবে বলে মনে করছে বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা।বেসরকারি সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মীরা মনে করেছিলেন গত ১১ ও ১২ মার্চ গোহাটিতে যে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির বৈঠক হয়েছিল সেখানেই একটা সমাধান হবে। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে নি কেন্দ্রীয় সরকার। ৬৫ লক্ষ্ বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ফল যে ভালো হবে না তা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবে।রাজ্যের বেসরকারি সংস্থা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা বলেন পশ্চিমবঙ্গে ৪২ জন সাংসদ আছেন যাদের মধ্যে ১৮ জন বিজেপির সাংসদ আছেন। তারা সবাই মিলে বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন সম্পর্কে ঝর তুলবেন আশা করছি।তাদের কাছে দাবি আপনারা ই পি এফ্ পেনশন প্রাপকদের সম্পর্কে লোকসভায় কথা বলুন। যেমন অন্য রাজ্যের সাংসদরা ইতিমধ্যেই লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ঝড় তুলেছেন।