যৌনকর্মীকে পুলিশের লাঠিপেটার ছবি ভাইরাল , চাঞ্চল্য শহর জুড়ে
1 min readযৌনকর্মীকে পুলিশের লাঠিপেটার ছবি ভাইরাল , চাঞ্চল্য শহর জুড়ে
যৌনকর্মীকে পুলিশের লাঠিপেটার ছবি ভাইরাল , চাঞ্চল্য শহর জুড়েনাম তার নুর বাবু , তিনি একজন পুলিশের এ এস আই। তিনি নাকি হামেশাই যৌনপল্লীতে গিয়ে যৌনকর্মীদের মারধোর করেন। কেন করেন , তা কেউ সঠিক জানে না। কেনই বা তিনি পুরুষ হয়ে মহিলাদের গায়ে হাত তোলেন , সে কারন ও অজানা। শুধু জানা গেছে যে তিনি ব্যাপক হারে মারধোর করে থাকেন। তবে গত রাতের পর বিষয়টা শুধু জানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই , তার লাঠি পেটানোর ছবি দেখাও গেল এবং তা এই মুহুর্তে ভাইরাল। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমানের কথা । এই নিয়ে আপাতত সরগরম দুর্গাপুরের কাদা রোড যৌনপল্লী। শেখ নুর মহম্মদ স্থানীয় ওয়াড়িয়া ফাঁড়ির এ এস আই। তাঁর এই বীরত্বের জেরে আপাতত ৫ জন যৌনকর্মী আহত , যার মধ্যে দুজন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের শিশুও আছে।ঘটনার সুত্রপাত গত ১৯ তারিখ । এক যৌন কর্মীর বাড়ী থেকে মদ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। তারপরে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে কিছু নেশার বস্তু উদ্ধার করে।
এই নিয়ে যৌনকর্মীদের সাথে বচসা শুরু হয় পুলিশের। তখনকার মত পুলিশ ফিরে গেলেও পরে নুর বাবুর নেতৃত্বে ফের হানা দেয় পুলিশ। তখনই নুর বাবুর বেধড়ক লাঠি পেটার ছবি ভাইরাল হয়। লাঠিপেটা ও সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরূদ্ধে। এক যৌনকর্মীর তলপেটে ব্যাপক চোট লাগে , সেই যৌনকর্মীকে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে দেখা যায়।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য যৌনকর্মীরা। এক শিশু সহ পাঁচ যৌনকর্মী আহত হন , যাদের মধ্যে দুজনকে হাসাপাতালে পাঠাতে হয়। তবে শেখ নুর মহম্মদের এই ঘটনা ঘটানোর প্রবনতা নতুন নয় , এর আগেও নানা অছিলায় মারধরের অভিযোগ করেছে যৌনকর্মীরা। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরূদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে ই-মেইল মারফৎ অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যৌনকর্মীর পরিবার। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরূদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অন্যান্য যৌনকর্মীরা।