ইউক্রেন থেকে ছেলে বাড়িতে ফিরতেই মা বরন ডালা সাজিয়ে ছেলে সৌরভকে বরন করে নিলে খুশির হাওয়া কালিয়াগঞ্জে
1 min readইউক্রেন থেকে ছেলে বাড়িতে ফিরতেই মা বরন ডালা সাজিয়ে ছেলে সৌরভকে বরন করে নিলে খুশির হাওয়া কালিয়াগঞ্জে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৭মার্চ:চোখে চিকিৎসক হবার স্বপ্ন নিয়ে ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের হরিহর পুরের সৌরভ।ছয় বছর শেষে মাত্র আড়াই মাস থাকতেই রাশিয়া যেমন ইউ ক্রেন শহরকে বিধ্বস্ত করেছে ঠিক একই ভাবে সৌরভের চিকিৎসক হবার স্বপ্নকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেবার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রবিবার রাতে কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফিরলো সৌরভ বাগচী।রবিবার রাত আট টার সময় বাগডোগরা থেকে বাড়ি ফিরলে মা সীমা বাগচী বরন ডালা সাজিয়ে রীতিমত বরন করে ছেলে সৌরভকে ঘরে তুললো।বাবা নীতিশ বাগচী ও মা সীমা বাগচী ছেলে সৌরভকে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ পাবার মতই খুশি হয়।
বাবা নীতিশ বাগচী ও মা সীমা দেবী বলেন আমাদের ছেলে সৌরভকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব ভারতের প্রধান মন্ত্রীর।সেই কারনে আমরা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবো বলে জানান।
হরিহরপুরের গ্রামবাসীরাও সৌরভকে সম্বর্ধনা দেয়।সৌরভ কি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরলো তার বর্ণনা করতে গিয়ে জানায় রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উল খাগড়ার প্রাণ যায় বলে ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা করে।সৌরভ জানায় দশ দিন ধরে বোমার আওয়াজ,মিসাইলের আগুনের ঝলকানির সেই চেহারা খুব কাছে থেকে দেখে ভেবেই নিয়েছিল বাড়ি ফেরা আর হলোনা বুঝি। কিন্তূ আমরা কিভ মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা কুড়ি তলার নিচে বিল্ডিংএর ব্যাংকার থেকে কোন রকমে বেরিয়ে পড়ি।এর পর কে কোথায় গেছে বলতে পারবোনা।
তবে সে জীবনের ঝুকি নিয়ে কিভ সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে বলে জানায়। এক প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলে ইউক্রেনে গিয়ে ভ্য়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হলাম।মাত্র আড়াই মাস বাকি ছিল সষ্ঠ বর্ষের পরীক্ষার। কিন্তূ তীরে এসে তরী ডুবে যাবার মতই ঘটনা আমার ক্ষেত্রে ঘটে গেল।সৌরভ বলে বাড়িতে আসতে পারবো বলে মনে হয়নি।এক প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলে ইউক্রেনে গিয়ে ভ্য়াবহঅভিজ্ঞতার শিকার হলাম।তবে সৌরভ বলে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে।আবার যেন সবকিছু আগের মতই ফিরে আসে। পুনরায় সব কিছু ঠিক ঠাক হয়ে গেলে ইউক্রেনে গিয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় বসে তার জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেই বলে জানায়। সৌরভ কিভ মেডিক্যাল কলেজের ষষ্ঠ বর্ষের হার্ট স্পেশালিস্ট বিভাগের ছাত্র ছিল।সৌরভ বলে বাড়িতে আসতে পারবো বলে মনে হয়নি। সে কিভ শহরের সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে কোন রকমে এসে লিবিবের ট্রেন উঠে পরে। ট্রেন লিবিব শহরে গেলে সেখান থেকে সে উজগ্রো বর্ডার পেরিয়ে স্লোভাকিয়া বর্ডারে পৌঁছে যায়।সেখানে ৬ থেকে ৭দিন অপেক্ষা করে ভারতের বিমানের জন্য। পরে জানতে পারে খোয়া ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে গিয়ে ভারতের বিমানে উঠতে হবে।সেইমত খোয়া আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে গিয়ে বিমানে উঠে পড়ে।তারপর সেখান থেকে দিল্লী বিমান বন্দরে এলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বঙ্গ ভবনে নিয়ে যায়।বঙ্গ ভবন থেকে রাজ্য সরকার তাকে দিল্লী বাগডোগরা বিমানের টিকিট কেটে দিলে দিল্লী থেকে বাগডোগরায় চলে আসি বলে সৌরভ বাগচী জানায়।এরপর সেখানে দেখা যায় জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাকে নিয়ে যাবার জন্য সেখানে উপস্থিত হন।এর পর সোজা কালিয়াগঞ্জের হরিহরপুরের বাড়িতে পৌঁছে যায় সৌরভ।