December 25, 2024

কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরে মিশন নির্মল বাংলার অর্থে পাব্লিক টয়লেট তৈরি হলেও দুবছর ধরে তালা বন্ধ, সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না?

1 min read

কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরে মিশন নির্মল বাংলার অর্থে পাব্লিক টয়লেট তৈরি হলেও দুবছর ধরে তালা বন্ধ, সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না?

তনময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ১৬জানুয়ারি:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের ব্যবস্থাপনায় নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় পৌর শহরের ৬নম্বর ওয়ার্ডে দুই বছর আগে একটি পাব্লিক টয়লেট নির্মাণ করা হলেও তা তালা চাবি লাগিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ কিছুঁই জানেনা ঐ রকম একটি স্থানে কাদের জন্য সেই পাব্লিক টয়লেট করা হয়েছে ?শুধু তাই নয় রসিদপুরের কোন মানুষই জানেনা সেখানে এরকম একটি জিনিস নামেই বানিয়ে রাখা হয়েছে? রবিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের ৬নম্বর ওয়ার্ডের রশিদপুর জুনিয়ার হাই স্কুলের একদম পেছনে গিয়ে দেখা যায় এই পাবলিক টয়লেটটি এমন একটি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে সেই এলাকার নাগরিকরাই জানেনা সেখানে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।রসিদপুরের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দিলীপ সাহা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এই টয়লেট করার পেছনে এলাকার সাধারণ মানুষের পরিসেবার কোন কারন নেই।

সরকারের অর্থ যেমন তেমন করে অযৌক্তিক ভাবে যে নষ্ট করা হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যায়।যেখানে মিশন নির্মাণ বাংলার লক্ষ সাধারণ মানুযের পরিষেবা দেওয়া সেখানে কারা এমন একটি স্থানে এই পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করলেন যে পাবলিক টয়লেটের কথা এলাকার মানুষেরাই জানেনা? রসিদপুরের গ্রাম বাসীদের অনেককেই মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল যে এই পাবলিক টয়লেটটি বিদ্যালয়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন এই পাবলিক টয়লেট টি রসিদপুরের উপর দিয়ে গ্রামের দিকে গেছে তার আশেপাশে কেন করা হয়নি?রাস্তার আশেপাশে করা হলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা সামান্য পয়সার বিনিময়ে এটা ব্যবহার করতে পারতো সময়ে অসময়ে বলে জানান।তাতে করে নির্মল মিশন বাংলার যে মূল লক্ষ সেটা পালন করা সম্ভব হত।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক কি এসব দেখার সময় পান না, না জেনেশুনে ও কিছু করেন না?রসিদপুরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন কার পরামর্শে এমন একটি স্থানে সরকারি অর্থে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করলেন যেখানে সাধারণ মানুষ সেই পাবলিক টয়লেটের কোনও খোঁজই পাবেনা?রসিদপুরের জনগন বলেন তাহলে কি আপনার পৌর সভার কিছু নিজের তৈরি করা ঠিকাদারদের পকেট ভরানোয় মূল উদ্দেশ্য ছিল?এটা রসিদপুরের ওয়ার্ডবাসীর প্রশ্ন আপনার কাছে?রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের জন্য অর্থ নিয়ে সেই অর্থের নয়ছয় ঘটাবেন আর বলবেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা জনগণের জন্য কাজ করছে আগামীতেও কাজ করবে এই কি সেই কাজের নমুনা? জানা যাচ্ছে এই ধরনের নাকি অনেকগুলো পাবলিক টয়লেট করা হয়েছে যার মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে আপনাদের নিজস্ব কিছু তাবেদার ঠিকাদারদের পকেট ভরিয়ে দিয়ে সরকারের অর্থের শ্রাদ্ধ করেছেন বিগত এক বছর সময় ধরে। যা কালিয়াগঞ্জের মানুষ প্রকাশ্যে ই বলছেন।সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন তারা সময় মতই এর জবাব দেবে।তখন আর কিছুই করার থাকবেনা।বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষদের বলতে শোনা যাচ্ছে হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন।এরপর কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান হবার স্বপ্ন চীর স্বপ্নই থেকে যাবে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের বলতে শোনা যাচ্ছে “ঝরে বগ বার বার মরেনা”।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *