December 26, 2024

পৌর নির্বাচনে তৃণমূলে এবার নূতন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্ত্তির প্রাধান্য,বাতিলের খাতায় অধিকাংশ পুরানো কমিশনাররা

1 min read

পৌর নির্বাচনে তৃণমূলে এবার নূতন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্ত্তির প্রাধান্য,বাতিলের খাতায় অধিকাংশ পুরানো কমিশনাররা

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৩১ ডিসেম্বর:পৌর নির্বাচনের প্রস্তাবিত তারিখ ঘোষণা হতেই কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে নুতন মুখ কাদের আনা হবার তা নিয়েই তৃণমূল দলে জোর জল্পনা।অনেক পুরনো কমিশনার আগে থেকেই কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে যে এবার তাদের ভাগ্যে কমিশনারের টিকিট জোটার সম্ভাবনা খুবই কম।তৃণমূল সূত্রের খবর আসন্ন পৌর নির্বাচনে এবার অধিকাংশ পূর্বের কমিশনার দের বাদ দিয়ে সব দিক দিয়ে এলাকার স্বচ্ছ ভাবমূর্ত্তির মুখ এমন মানুষদের প্রার্থী করা হবে যাদের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে কথা কেউ বলতে পারবে না।এবার কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ড দখল করতে গেলে স্বচ্ছ ভাবমূর্ত্তির নুতন মুখ ছাড়া কোন ভাবেই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর বোর্ড দখল করা তৃণমূলের পক্ষে সম্ভব নয়।তাই তৃণমূল সূত্রের খবর থেকে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭ টি ওয়ার্ডের পূর্বের অধিকাংধ কমিশনারদের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।যাদের মধ্যে কাট মানির অভিযোগ একাধিক কমিশনারদের বিরুদ্ধেই পাওয়া গেছে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় বর্তমানে যিনি পৌর প্রসাশক সেই শচিন সিংহ এবার তার ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না ১১নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবার জন্য।তাহলে বর্তমান পৌর প্রসাশক কোথায় দাঁড়াবেন?বিশ্বস্ত সূত্রের খবর তিনি নাকি পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড ১০ নম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই নাকি ঐ এলাকায় প্রার্থী হবার জন্য চার ফেলে দিয়ে রেখেছেন।মাঝে মধ্যেই ঐ এলাকার তৃণমূল নেতাদের না জানিয়ে পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় ভোটের জমি তৈরি করবার জন্য ঘোড়াফেরা করতে দেখা যায়।

যা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতারা একদম পছন্দ করছেনা।তাদের বক্তব্য কোন ভাবেই অন্য ওয়ার্ড থেকে আসা কোন তৃণমূল নেতাকে তারা প্রার্থী হতে দেবেনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকাবুকো তৃনমূলের কয়েকজন নেতা বলেন তারা কয়েক বছর ধরে জমি চাষ করবে আর অন্য এলাকা থেকে এসে তাদের তৈরি জমিতে ফসল তুলবে তা কোন ভাবেই হতে দেবেনা।১০নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক তৃণমূল কর্মী অত্যন্ত ক্ষোভের সাথেই জানান তাদের তৃণমূল দলে এমন কয়েকজন নেতা আছেন যাদের ওয়ার্ড মহিলা হলেই হয় তার বৌদি না হয় তার স্ত্রীকে দাঁড়াবার জন্য দরবার করে থাকে।তারা ধরেই নিয়েছে পৌর নির্বাচনে দাঁড়ানোটা তাদের জন্মগত অধিকারের মধ্যেই পরে।ঠিক একই ঘটনা ঘটতে চলেছে পৌর সভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও।যিনি থাকেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আর তিনি দাঁড়াতে চান ৯নম্বর ওয়ার্ডে। জানা যায় পৌর শহরের ৮নম্বর ওয়ার্ডে তিনি হালে পানি পাননা।ফলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপর তাকে নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়।বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য কোন ভাবেই তারা অন্য কোন ওয়ার্ডের কোন নেতাকে জায়গা দেবার কোন প্রশ্নই নেই।তাই তৃণমূল নেতা কমল ঘোষকে প্রতিবারের মত এবারেও প্রার্থী হবার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পরতে হবে বলে ৯নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বক্তব্য থেকেই সহজেই বোঝা যায়।জানা যায় এবারের কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট বলেই তারা ধরে নিয়েছে।সেই কারণে এলাকার।মানুষের কাছে যাদের ভাবমূর্তি প্রচন্ড খারাপ অথচ এলাকার তিনি নেতা।তার চলা ফেরা কথা বার্তার ধরন তিনি বুঝতে না পারলেও মানুষ একদম পছন্দ করেনা তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।এ ছাড়াও বর্তমান প্রসাশক মন্ডলীর মধ্যে এমন কিছু নেতা আছে এলাকায় যাদেরকে মানুষ একদম সহ্য করতে পারেনা।সাধারণ মানুষদের নানা ভাবে সাহায্য করবার পরিবর্তে এলাকার মানুষদের সমস্যা তৈরি করতেই বেশি পারদর্শী তারা যে এবার বোল্ড আউট হচ্ছে তা বিশ্বস্ত সূত্রের খবর থেকেই জানা যায়।অনেক তৃণমূল।নেতা সারা পাঁচ বছর বছর এলাকার জন্য কোন কাজ না করে এখন নানান রকমের সমাজ সেবা মূলক কাজ দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।যা নিয়ে এলাকার মানুষেরাই সমালোচনা করছে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে।সাধারণ মানুষের বক্তব্য ভালো ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ ছাড়া কোনভাবেই।এবার ভোট প্রয়োগ করবেনা।যদি ভালো মানুষ না পাওয়া যায় তাহলে ভোটের ধারে কাছেই যাবেনা বলে জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *