December 26, 2024

কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামে নুতন নুতন ফুটবল প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ফুটবল কোচ তরুণ গুহের জুড়ি মেলা ভার

1 min read

কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামে নুতন নুতন ফুটবল প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ফুটবল কোচ তরুণ গুহের জুড়ি মেলা ভার

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৩১ ডিসেম্বর:রাজ্য সরকার খেলা ধুলার প্রসারে রাজ্যের ক্লাব গুলিকে রাজ্য সরকার প্রচুর অর্থ দিলেও ক্লাব গুলি খেলা ধুলার ব্যাপারে সেই ভাবে কাজ করেনা।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জিনগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক তরুণ গুহ শিক্ষকতার চাকরিকে সামাল দিয়েও কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামের ছেলেদের নিয়ে কেমন করে গ্রাম বাংলার ফুটবল

প্রতিভার বিকাশ ঘটানো যায় দিনরাত একটাই ভাবনা নিয়ে তরুণ গুহ ফুট বলের বিকাশে আত্ম নিবেদন করে কাজ করে চলেছে।ক্রীড়া শিক্ষক তরুণ গুহ কালিয়াগঞ্জ শহরে যেমন ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরে কালিয়াগঞ্জ ফুটবল একাডেমি তৈরি করে সকাল বিকাল সেই সব কচিকাঁচাদের নিয়ে কোচিং দিয়ে তাদের মধ্যে থেকে বেছে বেছেভালো ফুটবলার তৈরি করবার একটা নেশায় মেতে গেছেন তরুণ গুহ।

কালিয়াগঞ্জ ফুটবল একাডেমি নিয়েই তরুণ গুহ পরে থাকছে না।তরুণ গুহ গ্রামের মেয়েদের নিয়ে ভেলাই গ্রামের মত অজ গ্রামে মহিলাদের নিয়ে ভলিবল কোচিং দেবার ব্যবস্থাও করেছেন।কালিয়াগঞ্জের ভেলাই গ্রামের মেয়েরা প্রতিদিন ভলিবল খেলছে যা কালিয়াগঞ্জ বাসীদের কাছেও একটা গর্বের ব্যাপার।সেখানে তরুণ গুহের নেতৃত্বে চলছে ভলিবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।কালিয়াগঞ্জ জিনগাঁও বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক তথা কালিয়াগঞ্জ ফুটবল একাডেমির সম্পাদক তরুণ গুহ এক সাক্ষাৎকারে জানালেন তিনি যে বিষয়ের শিক্ষক সেই বিষয়ের উপরে কোন কাজ করে সমাজে দাগ ই না কাটতে পারলাম তাহলে

পৃথিবীতে এসে কি লাভ।বলুনতো?তিনি বলেন তার লক্ষ একটাই তিনি যেহেতু ক্রীড়া শিক্ষক তাই ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাকে কালিয়াগঞ্জের মাটি থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতেই হবে।এই লক্ষ হয়তো পূরণ করতে সময় লাগবে।তরুণ বাবু ইতিমধ্যেই ফুটবল কোচ হিসেবে ডাক পেলেও তিনি কালিয়াগঞ্জ থেকে অন্য কোথাও যাবেন না।তরুণ বাবু জানান কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামে ভালো ভালো গরিব ঘরের ছেলে মেয়েরা আছে।যাদের একটু নার্সিং করতে পারলেই এরা একটা জায়গাতে চলে আসতে পারে।তরুণ বাবু জানান তাকে সবসময় যে ব্যক্তিটি এই সমস্ত কাজ করবার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে থাকে তার নাম উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া পর্ষদের অন্যতম সদস্য অসীম ঘোষ।

তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মধ্য থেকে ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় তৈরি করতে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা যে ভাবেই হোক তিনি করবেন।এই ধরনের উৎসাহ পাবার কারণেই তিনি এসব নিয়েই পরে আছেন।তরুণ বাবু জানান তার কালিয়াগঞ্জ ফুটবল একাডেমিতে গ্রামের যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা আসে তার মধ্যে থেকে বেছে নিয়েই এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার লীগ টুর্নামেন্ট অংশ গ্রহন করিয়েছিলাম।

তরুণ গুহের আশা তার সমনে যে লক্ষ সেই লক্ষ তিনি পূরণ করবেনই।কারন প্রতিটি মানুষের যদি একটা লক্ষ থাকে ও তার সাথে নিজের উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে সেই কাজ অবশ্যই হবে। ক্রীড়া শিক্ষক ও ফুটবল কোচ তরুণ গুহ বলেন যার যেটা কাজ সেই কাজে মনোনিবেশ করে পাগল না হলে সফল হওয়া সম্ভব নয়।তাই সারাটা দিন ফুটবল আর ভলিবল নিয়ে যে ভাবে আমার সময় কেটে যায় মনে হয় সময়টা যদি আরো কিছুটা বেশি হত তাহলে বোধহয় আরো বেশি কিছু সময় ফুটবল বা ভলিবলের উন্নয়নে সময় দিতে পারতাম।তবে তরুণ গুহ যে এই সময়ের মধ্যেই কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রাম থেকে ফুটবল ও ভলিবলের প্রতিভার বিকাশ ঘটাবেই তার উৎসাহ ও উদ্যম দেখেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *